আচমকা উঠল পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান! গিলানির মৃত্যুর রাতে ঠিক কী হয়েছিল, ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনল পুলিশ

গিলানির দেহ পাকিস্তানি পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল শেষকৃত্যের সময়। এই ইস্যুতেই তৈরি হয় বিতর্ক।

আচমকা উঠল পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান! গিলানির মৃত্যুর রাতে ঠিক কী হয়েছিল, ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনল পুলিশ
সইদ আলি গিলানি। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2021 | 7:59 AM

শ্রীনগর: কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির শেষকৃত্য নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। রাতের অন্ধকারে পরিবারের কাছ থেকে দেহ ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ, ভোরের আগেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করে দেওয়া হয়েছে, এমনই অভিযোগ উঠেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই বিতর্কের মুখে এবার গিলানির শেষকৃত্যের ভিডিয়ো পোস্ট করল কাশ্মীর পুলিশ। আসলে কী ভাবে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়, সেটাই দেখানো হয়েছে ভিডিয়োতে।

একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে গিলানির দেহ পরিস্কার করা হচ্ছে। এরপর রীতি মেনে শেষকৃত্যের আগে বিশেষ প্রার্থনাও হয়। পর গিলানির বাড়ির অদূরে তাঁকে হায়দারপোরা কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গিলানির মৃত্যুর পর কাশ্মীরের আইজিপি শ্রী বিজয় কুমার তাঁর বাড়িতে যান ও গিলানির দুই ছেলের সঙ্গে দেখা করেন। রাত ১১ টা নাগাদ তিনি গিলানির বাড়িতে গিয়ে অনুরোধ জানান যাতে রাতের মধ্যেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। তাতে পরিবার রাজিও হয় প্রাথমিকভাবে।

পুলিশের দাবি অনুযায়ী, প্রথমে সব ঠিকই ছিল। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে এসে যান গিলানির আত্মীয়রাও। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই আচমকা ব্যবহার বদলে যেতে থাকে গিলানির পরিবারের। পুলিশের দাবি, সম্ভবত পাকিস্তানের চাপে আচমকাই বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ শুরু করে তারা। এরপরই গিলানির দেহ মুড়ে ফেলা হয় পাক পতাকায়, পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান দিতে শুরু করে পরিবারের লোকজন। পরে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, সম্ভবত পাকিস্তানের বিশ্বাস রক্ষায় শেষকৃত্যে কবরস্থানেও আসেননি গিলানির দুই ছেলে।

পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। গত বুধবার সন্ধেয় জম্মু কাশ্মীরে মারা যান ৯২ বছর বয়সীএই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। আজীবন ভারতে থাকলেও তিনি মনে-প্রাণে সমর্থন করে এসেছেন পাকিস্তানকেই। যে কারণে তাঁর মৃত্যুর পরই উপত্যকা জুড়ে জারি করা হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তা। এমনকী, কাশ্মীর জুড়ে ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছিল যাতে কোনও ভাবেই অশান্তি, গুজব বা হিংসা না ছড়ায়।

পরে ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হলে বেশ কিছু ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, শেষকৃত্যের আগে পাকিস্তানের পতাকায় দেহ মুড়ে রাখা হয়েছিল গিলানির। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গিলানির দেহ ঘিরে অগণিত পুরুষ-মহিলা। এই পরিস্থিতির কারণেই গিলানির শেষকৃত্য অত্যন্ত কম আয়োজনের মাধ্যমে করা হয়। জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিং জানান, দেশবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কড়া ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে হুরিয়ত গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকার পর গতবছর তিনি আচমকাই ইস্তফা ঘোষণা করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছিল, তাঁকে পাকিস্তান ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ধীরে ধীরে একঘরে করে দিয়েছিল। পদত্যাগ করার সময় তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। আরও পড়ুন: ‘বিজেপির ২৫ বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে লাইনে রয়েছেন’, ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে অভিষেক