Mukul Sangma on Congress: ‘গা ছাড়া ভাবই কংগ্রেসের পরাজয়ের প্রধান কারণ’, মমতার হাত ধরেই আক্রমণ মুকুলের
Mukul Sangma: উল্লেখ্য, কালই তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন মুকুল সাংমা সহ মেঘালয়ের ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক। তারপরই পশ্চিমবঙ্গের দুই মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা ও মলয় ঘটকের সঙ্গে কথা হয় তাদের।
নয়া দিল্লি: গতকাল ১১ বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল তৃণমূল কংগ্রেস (All India Trinamool Congress) যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এই যোগদানের পর মেঘালয়ে (Meghalaya) কংগ্রেসের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনও হেলদোল নেই কংগ্রেসের। কংগ্রেসর এই মনোভাবকে তীব্র কটাক্ষ করলেন সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারী মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা (Mukul Sangma)।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য অংশগ্রহন করছি। এটা চলতেই পারে। কংগ্রেসের এই মনোভাবের কারণেই আমরা ওই দল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি।” এদিন ডঃ সাংমা গত নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করেন। তিনি জানিয়েছেন, বিগত কয়েকবছরে বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস দুর্বল হয়ে গিয়েছে, কিন্তু সেই দুর্বলতা থেকে শক্তি বাড়ানোরস কোনও পরিকল্পনা কংগ্রেসের নেই। তৃণমূলে যোগদানের আগে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন “এটা খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয় কংগ্রেস দলে অনেক সিনিয়র নেতা থাকা সত্ত্বেও, আমরা কথা বলার চেষ্টা করেও কাউকে পাইনি। এরকম নয় যে মুকুল সাংমা কথা বলার চেষ্টা করেননি! মুকুল সাংমা বারবার কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।”
বাংলার নির্বাচনে তৃতীয় বার জয়ের পর জাতীয় রাজনীতিকে পাখির চোখ করেছিল তৃণমূল। তারপর থেকেই একের পর এক রাজ্যে বিভিন্ন দল থেকে নেতারা মমতার দলে যোগদান করা শুরু করেছিলেন। সেই সময় অনেকেরই দাবি ছিল, হঠাৎ করে বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূলের এই ছড়িয়ে পড়ার পিছনে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের হাত রয়েছে। এদিন কার্যত সেই দাবিকেই মান্যতা দিল মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য। স্পষ্টতই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে একাধিক বার তাঁর আলোচনা হয়েছে। প্রশান্তই তাঁকে তৃণমূলে যোগদানের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, “আমার নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা চালিয়ে দেখছিলাম এই মূহুর্তে কী করা উচিৎ! সেই সময় প্রশান্ত আমাকে তৃণমূলে যোগদানের পরামর্শ দেন।”
উল্লেখ্য, কালই তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন মুকুল সাংমা সহ মেঘালয়ের ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক। তারপরই পশ্চিমবঙ্গের দুই মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা ও মলয় ঘটকের সঙ্গে কথা হয় তাদের। তৃণমূলে যোগ দিয়েই মুকুল বলেছিলেন, “২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে আমরাই সরকারে আসব। কিন্তু কোনও কারণে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পেলেও ভোটের ফলে সর্ববৃহৎ দল হিসেবে আমরাই আত্মপ্রকাশ করি। কিন্তু তারপর কোন পদ্ধতিতে মেঘালয়ে সরকার গঠন হয়েছিল তা আপনারা সকলেই জানেন। গণতন্ত্রে বিরোধী দলের ভূমিকা অপরিসীম। জনবিরোধী কাজকে বাধা দেওয়া ও সরকারে ভুল গুলি তুলে ধরাই বিরোধী দলের প্রধান দায়িত্ব। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করে গিয়েছি। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি, আমরা সঠিকভাবে বিরোধী দলের নীতি পালন করতে পারিনি। দলীয় নীতি মেনে চলতে গিয়ে জনস্বার্থের সঙ্গে আপোশ করতে হয়েছে। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”