নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধেই হেনস্থার অভিযোগ উন্নাওয়ের নির্যাতিতার, সিবিআই রিপোর্ট চাইল আদালত
দিল্লির জেলা ও সেশন আদালতের বিচারপতি ধর্মেশ শর্মা সিবিআইকে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং তার উপর ভিত্তি করে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেন।
নয়া দিল্লি: সুরক্ষা ও নিরাপত্তার খাতিরে উন্নাওয়ের ধর্ষিতার জন্য পুলিশি সুরক্ষার ব্য়বস্থা করেছিল আদালত, এ বার তাদের বিরুদ্ধেই হেনস্থার অভি্যোগ আনলেন নির্যাতিতা। সম্প্রতিই তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনেন উন্নাওয়ের ওই ধর্ষিতা তরুণী। এরপরই দিল্লি কোর্টের তরফে সিবিআইয়ের কাছে গোটা বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া হল।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই নির্যাতিতার সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতিই ওই নির্যাতিতা আদালতে অভিযোগ জানান, নিরাপত্তারক্ষীরাই তাঁকে হেনস্থা করছে। তাঁর ও পরিবারের ব্য়ক্তিগত স্বাধীনতা এবং স্বাধীনভাবে চলাফেকরায় হস্তক্ষেপ করছে নিরাপত্তারক্ষীরা। আদালতের কাছে এই ঘটনার সুরাহা চান ওই তরুণী।
এরপরই দিল্লির জেলা ও সেশন আদালতের বিচারপতি ধর্মেশ শর্মা সিবিআইকে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং তার উপর ভিত্তি করে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেন। অন্য়দিকে, আদালতে পুলিশের তরফেও একটি মুখ বন্ধ খাম জমা দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, খামের ভিতরে রাখা চিঠিতে উন্নাওয়ের ওই তরুণী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে পুলিশ। গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করবে কোর্ট, এমনটাই জানানো হয়েছে।
২০১৭ সালে ওই তরুণীর যখন বয়স ছিল ১৭ বছর, সেই সময় প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার তাঁকে অপহরণ ও ধর্ষণ করেন। আদালতে মামলা করলে নির্যাতিতির পরিবারের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করা হয় ও মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উন্নাও থেকে মামলাটি দিল্লিতে বদলি করে আনা হয়। লাগাতার শুনানির পর আদালত অভিযুক্ত কুলদীপ সেঙ্গারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দেয়। বর্তমানে তিনি সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সাজা কমানোপর জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। আরও পড়ুন: ‘শত্রু’ চিনকে ‘বিশ্বাস’ ভারতের, লাল ফৌজের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য স্থাপিত হল হটলাইন