Agnipath: ফের তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে রাজনাথ, নিভল না অগ্নিপথ-বিক্ষোভের আগুন

Agnipath: 'অগ্নিপথ' নিয়োগ প্রকল্প নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে, রবিবার (১৯ জুন) সকালে ফের ভারতের তিন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

Agnipath: ফের তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে রাজনাথ, নিভল না অগ্নিপথ-বিক্ষোভের আগুন
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2022 | 1:47 PM

নয়া দিল্লি: ‘অগ্নিপথ’ নিয়োগ প্রকল্পের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে চলছে বিক্ষোভ। তারই মধ্যে, রবিবার (১৯ জুন) সকালে ফের ভারতের তিন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই নয়া নিয়োগ প্রকল্পের কাজ কীভাবে চলছে, সেই বিষয়েই মূলত আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার এবং আইএএফ প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরী এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, শনিবারও তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে একই বিষয়ে বৈঠক করেছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। ওই বৈঠকের পরই অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে চার বছরে পরিষেবা শেষ করার পর, কোস্ট গার্ড এবং ডিফেন্স পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং-এ ‘অগ্নিবীরদের’ জন্য দশ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের ঘোষণা করা হয়। একইভাবে, কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী বা সিএপিএফ এবং অসম রাইফেলসেও, অগ্নিবীরদের জন্য দশ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আধাসামরিক বাহিনী এবং অসম রাইফেলস-এ নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘অগ্নিবীরদের’ নির্ধারিত বয়সের ঊর্ধ্ব সীমায় তিন বছরের শিথিলতা দেওয়া হয়েছে। প্রথম ব্যাচের অগ্নমিবীরদের জন্য বয়সের ঊর্ধ্ব সীমায় শিথিলতা দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের।

এর পাশাপাশি অবসরের পর ‘অগ্নিবীর’দের কর্মে পুনর্বাসনের জন্য একাধিক সুবিধার কথা ঘোষণা করেছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটক, অসমের মতো বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্য, রাজ্য পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারি চাকরিতে ‘অগ্নিবীরদের’ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে অগ্নিবীরদের নিয়োগের বয়সের সীমাও বদলেছিল কেন্দ্র। অগ্নিবীরদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করা হয়েছিল। তবে এই শিথিলতা দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র প্রথম বছরের জন্য।

এই সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়া হলেও, দেশজুড়ে এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক আন্দোলন চলছেই। শনিবার সারা দেশে ৩৫০-রও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। রবিবারও, দেশজুড়ে মোট ৬৭৬ টি ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। সেই সঙ্গে মোট ১৮টি ট্রেনের সময় বদল করা হয়েছে। আরও ৬টি ট্রেন অন্য রুটে চালানো হচ্ছে।

অন্যদিকে, কংগ্রেস আম আদমি পার্টির মতো বিভিন্ন বিরোধী দলগুলি, অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই নিয়োগ প্রকল্প ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। শনিবার, রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেস পরিচালিত সরকার ‘সর্বসম্মতভাবে’ এই প্রকল্পটি প্রত্যাহারের দাবিতে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে নয়াদিল্লির যন্তর মন্তরে সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেছে কংগ্রেস। শনিবার, এই বিষয়ে আম আদমি পার্টির মুখপাত্র রাঘব চাড্ডা প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছেন, এই নিয়োগ প্রকল্পের বিরুদ্ধে সারা দেশেই যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, তা যথাযথ।