আলিগঢ় রূপান্তরিত হবে হরিগঢ়ে, ফিরোজাবাদের নামও বদলাতে পারে অতীত রাজার নামে!

আলিগঢ়ের মতোই মইনপুরী জেলা পঞ্চায়েতের তরফেও শহরের নাম মায়ান নগর করার প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। চেয়ারপার্সন অর্চনা ভাদোরিয়া বলেন, "পঞ্চায়েতের এক সদস্যই মইনপুরীর নাম বদলে মায়ান নগর করার প্রস্তাব দিয়েছিল। সোমবার ২৩ জন সদস্যের সমর্থনে সেই প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে।"

আলিগঢ় রূপান্তরিত হবে হরিগঢ়ে, ফিরোজাবাদের নামও বদলাতে পারে অতীত রাজার নামে!
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2021 | 1:37 PM

লখনউ:  বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ফের শুরু নাম বদলের খেলা। এ বার আলিগঢ়ে (Aligarh) নাম বদলে যেতে পারে হরিগঢ়ে (Harigarh)। সোমবার আলিগঢ়ের জেলা পঞ্চায়েতের তরফে পাশ করানো হয়েছে এমনই প্রস্তাব। দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রস্তাব সম্মতির জন্য আটকে ছিল বলে জানা গিয়েছে।

সম্প্রতি হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayat Election)-র পর সোমবারই প্রথমবার পঞ্চায়েত বৈঠক বসেছিল।  আলিগঢ় পঞ্চায়েতের ৭২ জন সদস্যের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন ৫০ জন। তাদের উপস্থিতিতেই বিনা বাধায় এই প্রস্তাব পাশ করানো হয়। এই বিষয়ে আলিগঢ় জেলা পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান বিজয় সিং বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই বাসিন্দাদের দাবি ছিল আলিগঢ়ের নাম বদলে যেন হরিগঢ় করা হয়। জেলা পঞ্চায়েত সেই প্রস্তাব স্বীকার করেছে। এ বার এই প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে অনুমোদনের জন্য।”

তবে শুধু আলিগঢ়ের নামই নয়, পাশাপাশি আলিগঢ় বিমানবন্দরের নামও বদলে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংয়ের নামে নামাঙ্কিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রাম জন্মভূমি আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা পালনের জন্যই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আলিগঢ়ের মতোই মইনপুরী জেলা পঞ্চায়েতের তরফেও শহরের নাম মায়ান নগর করার প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। জেলা পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন অর্চনা ভাদোরিয়া বলেন, “পঞ্চায়েতের এক সদস্যই মইনপুরীর নাম বদলে মায়ান নগর করার প্রস্তাব দিয়েছিল। সোমবার ২৩ জন সদস্যের সমর্থনে সেই প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। কেবলমাত্র দুইজন সদস্য এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন।” উল্লেখ্য়, এই মইনপুরী সমাজবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিং যাদবের ‘গঢ়’ হিসাবে পরিচিত।

এর আগে চলতি মাসেই ফিরোজাবাদের নাম বদল করে চন্দ্র নগর করার প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং পঞ্চায়েতে সদস্যের উপস্থিতিতে সেই প্রস্তাব পাশও করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাজা চন্দ্রসেন এখানে থাকতেন, ১৫৬০ শতাব্দী অবধি এই জায়গার নাম ছিল চন্দ্রভ্রর নগর। পরে আকবরের প্রতিনিধি ফিরোজ শাহ এই জায়গা পরিদর্শন করতে এলে নাম পরিবর্তন করে ফিরোজাবাদ দেওয়া হয়। তাদের দাবি, পূর্ব রাজা চন্দ্রসেনের নাম অনুকরণে ফিরোজাবাদের নাম চন্দ্র নগর করে দেওয়া হোক।

ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশ সরকার একাধিক শহর ও জেলার নাম পরিবর্তনের অনুমতি দিয়েছে। এলাহাবাদের নাম পরিবর্তিত হয়েছে প্রয়াগরাজে, মুঘলসরাইয়ের নাম বদলে হয়েছে দীন দয়াল উপাধ্যায় নগর ও ফৈজাবাদের নাম করা হয়েছে অযোধ্যা। আরও একাধিক জেলার নাম পরিবর্তন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন: আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা, কেড়ে নিল ব্যাগও, কাবুল থেকে কীভাবে উদ্ধার করা হল ভারতীয়দের?