Rajasthan Cabinet Reshuffle: রবিবাসরীয় রদবদলের আগে ‘গণ-ইস্তফা’ গেহলটের সব মন্ত্রীর
Ashok Gehlot: আজ সন্ধ্যার বৈঠকে প্রত্যেক মন্ত্রী তাঁদের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন।
জয়পুর: রবিবারই রাজস্থানের মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে আজ সন্ধ্যায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বাসভবনে বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার সব সদস্যরা। বৈঠকে প্রত্যেক মন্ত্রী তাঁদের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, আগামিকাল দুপুর ২ টোয় প্রদেশ কংগ্রেসের সদর কার্য্যালয়ে যাবেন সব ইস্তফা দেওয়া মন্ত্রী এবং অন্যান্য নেতারা। সেখানে ফের এক দফা বৈঠক হবে। তারপর রবিবাসরীয় বিকেলে আনুমানিক ৪ টে নাগাদ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের ঘোষণা করা হতে পারে।
আগামিকাল রাজস্থানের রাজভবনে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করতে পারে বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি সচিন পাইলটের সঙ্গে দিল্লির কংগ্রেস নেতাদের দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বেশ কয়েকবার। সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত যা রফা হয়েছে, তাতে পাইলট শিবিরের বেশ কয়েকজন নেতাকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হতে পারে।
পাইলট ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, অন্তত ৬ জন পাইলট শিবিরের নেতাকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হতে পারে। এর পাশাপাশি, রাজস্থানের বাইরে আরও বড় কোনও সাংগঠনিক দায়িত্ব পেতে পারেন সচিন পাইলট। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকজন প্রাক্তন বিএসপি বিধায়ক, যাঁরা পরবর্তী সময়ে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা এনে দিয়েছিলেন, তাঁদের এবার মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, রাজস্থানের মন্ত্রিসভায় এতদিন পর্যন্ত ২১ জন মন্ত্রী ছিলেন। এ ছাড়া আরও নয় জন নেতাকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসার জায়গা রয়েছে। এদিকে রাজস্থানের তিন মন্ত্রী যাঁরা গেহলটের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, আগেই মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এবার বাকি মন্ত্রীরাও মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কাছে তাঁদের ইস্তফা পত্র জমা করেছেন। আর ওই তিন নেতাকে ইতিমধ্যেই দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বারমেরের বিধায়ক তথা রাজস্ব মন্ত্রী হরিশ চৌধুরিকে পঞ্জাব কংগ্রেসের ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি পঞ্জাবে যে রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা সামাল দিতে কংগ্রেস তার উপরেই ভরসা রাখছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মাসেই হরিশ চৌধুরিকে পঞ্জাব কংগ্রেসের ইনচার্জ পদে নিয়োগ করর পর থেকেই তিনি মন্ত্রী পদ ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি প্রথম থেকেই “এক ব্যক্তি, এক পদ”-এ বিশ্বাসী, সেই কারণেই রাজস্থানের মন্ত্রী পদ ছেড়ে আপাতত পঞ্জাবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিকেই নজর দিতে চান। যদিও তিনি এ কথাও জানিয়েছেন যে, ইস্তফা দিলেও দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাই-ই চূড়ান্ত হবে। বাকি দুই মন্ত্রীও একই কারণ দেখিয়ে ইস্তফা জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, মন্ত্রিসভার রদবদলে সচিন পাইলট ঘনিষ্ঠদের জায়গা করে দিতেই ওই তিন মন্ত্রীকে দলের তরফে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল।
এদিকে, মন্ত্রিসভার রদবদলের জোর জল্পনার মধ্যেই শুক্রবার দিল্লিতে দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন সচিন পাইলট। বৃহস্পতিবারই সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও। দীর্ঘক্ষণের সেই বৈঠকে রাজ্যে রাজনৈতিক পরিবেশ, মন্ত্রিসভার রদবদলে রাজ্য়ে কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, কেবল মন্ত্রিসভাতেই নয়, দলের অন্দরেও রদবদল হতে পারে। সচিন পাইলট বিগত এক বছর ধরে যে গুরুত্বপূর্ণ পদের দাবি জানিয়ে এসেছেন, এ বার সেই দাবি পূরণ করা হতে পারে। শুক্রবারের বৈঠকও এই বিষয়ে আলোচনার জন্য়ই করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।