India-Bharat Controversy: ‘যদি আমরা আবেদন পাই…’ ‘ইন্ডিয়া-ভারত’ নাম বিতর্কের মাঝেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মুখপাত্র জানালেন এই কথা
United Nation: জি-২০ সম্মেলনের নৈশভোজের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্রে রাষ্ট্রপতিকে 'প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া'র বদলে 'প্রেসিডেন্ট অব ভারত' বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এই আমন্ত্রণপত্র ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়।
নয়া দিল্লি: নাম বদলে যাবে দেশের? ইন্ডিয়া(India)-র বদলে এবার লেখা হবে ভারত (Bharat)? এই প্রশ্নেই সরগরম গোটা দেশ। সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেশের নাম বদলের প্রস্তাব পেশ করতে পারে। এই নিয়েই তুঙ্গে বিতর্ক। এরইমাঝে রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) তরফে জানানো হল, নাম বদলের আবেদন পেলে রাষ্ট্রপুঞ্জ তা বিবেচনা করবে।
জি-২০ সম্মেলনের নৈশভোজের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্রে রাষ্ট্রপতিকে ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’র বদলে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এই আমন্ত্রণপত্র ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়। এরপর দেখা যায়, এর আগে ব্রিকস সামিটেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রাইম মিনিস্টার অব ইন্ডিয়ার বদলে প্রাইম মিনিস্টার অব ভারত বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। ইন্দোনেশিয়ায় চলা আসিয়ান সামিটেও ভারত শব্দটিই ব্যবহার করা হয়েছে। এরপরই জল্পনা শুরু হয় যে কেন্দ্র দেশের নাম বদলাতে চাইছে। ইন্ডিয়ার বদলে ভারত শব্দটি ব্যবহার করা হতে পারে। বিরোধীদের দাবি, ইন্ডিয়া জোটকে ভয় পেয়েছে কেন্দ্র। তাই দেশের নাম বদল করে দেওয়া হয়েছে।
নাম বদলের জল্পনার মধ্যেই বুধবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তেনিও গাতেয়াসের মুখপাত্র ফারহান হক জানান, কোনও দেশের তরফে যদি নাম বদলের আবেদন প্রস্তাব পাঠানো হয়, তবে তা বিবেচনা করে দেখা হবে। উদাহরণ হিসাবে তিনি তুরস্কের নামবদলের কথাও বলেন। গত বছর তুরস্কের তরফে ইংরেজিতে নাম Turkey-র বদলে Turkiye করা হয়।
মুখপাত্র বলেন, “তুরস্কের ক্ষেত্রে, সরকারের কাছ থেকে অফিসিয়াল আবেদনের জবাব দিয়েছিলাম আমরা। যদি আমাদের কাছে আবেদন আসে, তবে তা বিবেচনা করে দেখি আমরা।”