Arvind Kejriwal: ‘দেশকে সম্মানিত করতে সিঙ্গাপুর সফর’, মিলছে না রাজনৈতিক ছাড়পত্র! সরাসরি মোদীকে চিঠি কেজরীর

Arvind Kejriwal: দিল্লি মডেলের প্রচারে সিঙ্গাপুরে বিশ্ব শহর শীর্ষ সম্মেলন'এ যোগ দিতে চান অরবিন্দ কেজরীবাল। কিন্তু, কেন্দ্র থেকে রাজনৈতিক ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না দাবি করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

Arvind Kejriwal: 'দেশকে সম্মানিত করতে সিঙ্গাপুর সফর', মিলছে না রাজনৈতিক ছাড়পত্র! সরাসরি মোদীকে চিঠি কেজরীর
দিল্লি মডেলকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে সিঙ্গাপুর যেতে চান কেজরীবাল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2022 | 4:07 PM

নয়া দিল্লি: ‘দেশকে গর্বিত ও সম্মানিত করতে’ সিঙ্গাপুর যেতে চান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। চলতি মাসের শেষেই সেখানে ‘বিশ্ব শহর শীর্ষ সম্মেলন’এর আসর বসছে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ তেকে এখনও আপ প্রধানকে এখনও ছাড়পত্র দেয়নি কেন্দ্র। রবিবার এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চেয়ে, তাঁর কার্যালয়ে চিঠি দিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। শুধু তাই নয়, সূত্রের খবর এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকেও কেজরীবালের আম আদমি পার্টির সাংসদরা বিষয়টির উত্থাপন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে অরবিন্দ কেজরীবাল লিখেছেন, ‘একজন মুখ্যমন্ত্রীকে এত গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে আসা থেকে বিরত রাখা দেশের স্বার্থ বিরুদ্ধ। এই আমন্ত্রণ দেশের জন্য গর্বের এবং সম্মানের বিষয়। সিঙ্গাপুর সরকার একটি বিশ্ব-মানের সম্মেলনে দিল্লি মডেল উপস্থাপন করার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বিশ্বের তাবড় নেতাদের সামনে দিল্লির মডেল তুলে ধরা হবে। পুরো বিশ্ব দিল্লি মডেল সম্পর্কে জানতে চায়। যাতে আমি এই সফরের মাধ্যমে দেশের নাম উন্নীত করতে পারি, সেই কারণে যত দ্রুত সম্ভব এই অনুমতি দিন।’

প্রসঙ্গত, গত জুন মাসেই আসন্ন এই আন্তর্জাতিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার সাইমন ওং। কেজরীবালও সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু, কেন্দ্র কাছ থেকে এখনও তিনি এই সফরের অনুমতি পাননি। সূত্রের দাবি, বিষয়টি আটকে রয়েছে দিল্লির নয়া লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনার কার্যালয়ে। গত মে মাসের শেষেই অনিল বৈজালের কাছ থেকে এই পদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন বিনয় কুমার সাক্সেনা। দিল্লির আপ সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সরাসরি সঙ্ঘাতে জড়িয়েছিলেন পূর্ববর্তী লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজাল। এবার, সিঙ্গাপুর যাত্রা নিয়ে, বিনয় কুমার সাক্সেনার সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়াতে পারেন কেজরীবাল, এমনটাই আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বস্তুত আপ দলের ‘ইউএসপি’ই হল এই দিল্লি মডেল। কমিউনিটি হেলথ সেন্টার, বিনামূল্যে বিদ্যুত, নতুন শিক্ষা মডেল সমন্বিত এই মডেল যে দিল্লিবাসীর মনে ধরেছে, তা তাঁরা দ্বিতীয়বার আপকে নির্বাচিত করেই বুঝিয়ে দিয়েছেন। এই দিল্লি মডেল তুলে ধরেই সম্প্রতি পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনেও ব্যাপক জয়লাভ করেছে কেজরীবালের দল। এখন তাদের লক্ষ্য দেশের ক্ষমতা দখল। তার জন্য আরও বড় মঞ্চে দিল্লি মডেলের প্রচার করতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে, শেষ পর্যন্ত কেজরীবালকে সিঙ্গাপুর সফরের অনুমতি নাও দিতে পারে কেন্দ্র। এর আগে ২০১৯ সালে কেজরীবালকে একই রকম এক সফরে যেতে বাধা দিয়েছিল মোদী সরকার। সরকার সাফ জানিয়েছিল, বৈঠকটি ছিল বিভিন্ন শহরের মেয়রদের, সেখানে একজন মুখ্যমন্ত্রীর অংশ নেওয়া অর্থহীন। কেজরীবাল শেষ পর্যন্ত অনলাইনে ভাষণ দিয়েছিলেন।

কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রীদের বিদেশ সফরের বিষয়ে অনুমতি দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়। রাজনৈতিক ছাড়পত্র চেয়ে একটি ফর্ম পূরণ করে পাঠাতে হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। পিএমও সেই আবেদন পাঠায় বিদেশ মন্ত্রকে। বিদেশ মন্ত্রক আবেদনটি পাঠায় সংশ্লিষ্ট দেশের ভারতীয় দূতাবাসে। স্থানীয় আয়োজকদের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে বিদেশ মন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠায় দূতাবাস। এরপর ওই রিপোর্ট সহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সুপারিশ পাঠায় বিদেশ মন্ত্রক। আয়োজকদের সম্পর্কে কোনও সন্দেহের অবকাশ থাকলে বিদেশ মন্ত্রক রাজনৈতিক ছাড়পত্র নাও দিতে পারে। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।