‘এ যাবৎ সবচেয়ে বেশি’, জন্মের সময়েই শিশুর ওজন ৫.২ কেজি
অসমে মূলত আড়াই থেকে ৩ কেজি ওজনের সদ্যজাত হয়। সেখানে প্রায় দ্বিগুণ ওজনের শিশু জন্মানোয় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
গুয়াহাটি: সদ্যজাতর ওজন ৫ কেজি ২০০ গ্রাম। চিকিৎসকরা বলছেন এই শিশুই রাজ্যের সবচেয়ে বেশি ওজনের সদ্যজাত। অসমের (Assam) শিলচরের বাসিন্দা জয়া দাস। ১৭ জুন তিনি সতীন্দ্র মোহন দেবী হাসপাতালে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন। সেখানেই তাঁর এই সন্তান হয়। জানা গিয়েছে, মা ও ছেলে দু’জনেই সুস্থ আছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জয়া দাসের ডেলিভারি ডেট ছিল ২৯ মে। অসুবিধার জন্য প্রায় ১৮ দিন পরে হাসপাতালে আসে পরিবার। এমনতি শেষ সোনোগ্রাফিও হয়নি জয়ার। চিকিৎসক মহম্মদ আফসার আলম জানিয়েছেন, জয়ার আগের সন্তান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হয়েছিল। তাই এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল সোনোগ্রাফি। কিন্তু দেরি করে হাসপাতালে আসায় তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে নেন চিকিৎসকরা।
মহম্মদ আফসার জানান, তিনি আশা করেননি এত বেশি ওজনের শিশু হবে। অসমে মূলত আড়াই থেকে ৩ কেজি ওজনের সদ্যজাত হয়। সেখানে প্রায় দ্বিগুণ ওজনের শিশু জন্মানোয় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জয়া ও বাদল দাসের প্রথম সন্তানেরও ওজন ছিল ৩.৮ কেজি। এ বিষয়ে চিকিৎসক তমাল গায়েনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রথমো বুঝতে হবে এত বড় শিশু হল কেন? মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেশি ওজনের শিশু হয়।
বাবা-মার জিনগত স্ট্রাকচার থাকলে শিশুর ওজন হতে পারে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানান, এর আগেও ৫ কেজির শিশু হয়েছে। মায়ের কোনও হরমোনাল সমস্যা রয়েছে কি না তাও দেখতে হবে। পিটুইটারি গ্রোথ বেশি আছে কি না তাও খতিয়ে দেখতে হবে। ভবিষ্যতে এই শিশুর দ্রুত ডায়াবেটিস ও হরমোনাল সমস্যা দেখা যেতে পারে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ‘সার্টিফিকেটে উল্লেখ থাকতেই হবে করোনায় মৃত্যু’, হিসাবে গরমিল রুখতে কঠোর কেন্দ্র