Crime News: কাটা মুন্ডু হাতে নিয়ে হনহনিয়ে থানায় হেঁটে গেলেন ব্যক্তি, পিছনের কারণ জানলে শরীরে কাঁটা দেবে…

Crime News: সোমবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উত্তর অসমের সোনিতপুর জেলায় ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই অভিযুক্ত তুনিরাম মাদরি গ্রামেরই বাসিন্দা বোইলা হেম্রামকে খুন করেন। পরে কাটা মুন্ডু নিয়ে ২৫ কিলোমিটার হেঁটে থানায় হাজির হন।

Crime News: কাটা মুন্ডু হাতে নিয়ে হনহনিয়ে থানায় হেঁটে গেলেন ব্যক্তি, পিছনের কারণ জানলে শরীরে কাঁটা দেবে...
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2022 | 9:51 AM

গুয়াহাটি: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল ফুটবল ম্যাচের। কোন দল জিতবে, তা নিয়ে বাজিও ধরেছিলেন অনেকে। কিন্তু সেই বাজিই যে মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে, এ কথা কল্পনাও করতে পারেননি বোইলা হেম্রাম। ফুটবল ম্যাচে বাজি ধরার জন্য ৫০০ টাকা ধার চেয়েছিলেন গ্রামেরই এক বাসিন্দার কাছে। কিন্তু তিনি সেই টাকা ধার দিতে অস্বীকার করেছিলেন। ম্যাচের শেষে দেখা যায়, ওই ব্যক্তিই জিতেছেন একটি ছাগল। কসাইখানায় যাওয়ার জন্য তিনি ডেকেছিলেন বোইলাকে। যেতে অস্বীকার করতেই গলায় বসিয়ে দিলেন দাঁ-র কোপ। মুন্ডু কেটেও শান্তি পাননি অভিযুক্ত। সেই কাটা মুন্ডু হাতে নিয়েই হেঁটে গেলেন ২৫ কিলোমিটার। মুন্ডু হাতেই থানায় ঢুকে আত্মসমর্পণ করলেন। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে অসমে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উত্তর অসমের সোনিতপুর জেলায় ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই অভিযুক্ত তুনিরাম মাদরি গ্রামেরই বাসিন্দা বোইলা হেম্রামকে খুন করেন। পরে কাটা মুন্ডু নিয়ে ২৫ কিলোমিটার হেঁটে থানায় হাজির হন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বোইলা হেম্রাম নামক ওই যুবক তুনিরাম মাদরির কাছে ৫০০ টাকা ধার চেয়েছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত সেই টাকা ধার দিতে অস্বীকার করে। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসাও হয়।

ফুটবল ম্যাচের শেষে বাজি ধরে তুনিরাম মাদরি একটি ছাগল যেতেন। রাতেই কসাইখানায় গিয়ে ছাগল কাটাবেন বলে ঠিক করেন তিনি। একা যাওয়ার বদলে বোইলা হেম্রামকেও সঙ্গে যেতে বলেন তিনি। কিন্তু ওই যুবক যেতে অস্বীকার করলে, তাদের মধ্যে ফের বচসা শুরু হয়। এরপরই হামলা করে তুনিরাম। গলায় দাঁয়ের কোপ দিয়ে মুণ্ডচ্ছেদ করে হেম্রামের।

খুন করেই থামেনি অভিযুক্ত। কাটা মুন্ডু নিয়ে প্রথমে সে নিজের বাড়িতে যায়। সেখানে ভাইয়ের কাণ্ড দেখে তাঁর দাদা মারতে এলে, সে পালিয়ে যায়। এরপর ২৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে সে থানায় পৌঁছয় এবং আত্মসমর্পণ করে। যে দাঁ দিয়ে ওই যুবকের খুন করেছে, সেটিও পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশের তরফে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।