Bihar Lighting: একদিনেই বজ্রপাতে মৃত্যু কমপক্ষে ১০ জনের, বাংলাদেশের ঘূর্ণাবর্তই ভাসাবে রাজ্য
Weather Update: আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে, যা ৭.৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম দিকেই অগ্রসর হচ্ছে।
পটনা: আকাশ জুড়ে বিদ্য়ুতের ঝলকানি, একের পর এক বাজ পড়ার বিকট শব্দ। বর্ষা প্রবেশ করতেই একদিকে যেখানে একাধিক রাজ্য বন্যার আশঙ্কা করছে, সেখানেই অন্য ভয়ে কাটা বিহারের বাসিন্দারা। রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তে বাজ পড়ে মৃত্যু হচ্ছে বহু মানুষের। শনিবারও বিহারের বিভিন্ন জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১০ জনের। আবহাওয়া দফতর সূত্রেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দিনভর ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে বিহারে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরণ জেলায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে বজ্রাঘাতে। বিকেল থেকে রাতের মধ্যে লাগাতার বাজ পড়ে সিওয়ান, হাজিপুর, বাঙ্কা ও গোপালগঞ্জ জেলাতেও একজন করে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ জুন থেকে ১ জুলাইয়ের মধ্যে বিহারে বাজ পড়ে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পটনা মেটেওরোলজিক্য়াল সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যজুড়েই ভারী বৃষ্টিপাত হলেও, বিহারের উত্তর-মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিগত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-মধ্য, দক্ষিণ-মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে সর্বাধিক বৃষ্টি হয়েছে। বারাউনিতে ৯৩.২ মিলিমিটার, মোহানিয়া ৮৬.৬ মিলিমিটার, ঘোসিতে ৬৫.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। আগামী কয়েকদিনও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে, যা ৭.৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণাবর্তটি ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে। এরফলে ওড়িশা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বিহার, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গে। ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতরের তরফে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী ৪ জুলাই অবধি ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।