Ujjain Assault Case: সাহায্যের আশায় ৮ কিলোমিটার হেঁটেছিল ‘ধর্ষিতা’ নাবালিকা
লোকের দুযারে দুয়ারে গিয়ে সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেনি অর্ধনগ্ন, রক্তাক্ত কিশোরীকে সাহায্য করতে। সিসিটিভির সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রায় ৮ কিলোমিটার এ ভাবেই সাহায্যের আশায় হেঁটেছে ওই নাবালিকা। পরে আশ্রমের এক পুরোহিত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এলাকাবাসীর এই অমানবিক আচরণ স্তম্ভিত করেছে নেটিজেনদের।
উজ্জয়িনী: মধ্য প্রদেশের উজ্জয়িনী থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হয়েছিল ধর্ষণের শিকার হওয়া ১২ বছরের নাবালিকাকে। লোকের দুযারে দুয়ারে গিয়ে সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেনি অর্ধনগ্ন, রক্তাক্ত কিশোরীকে সাহায্য করতে। সিসিটিভির সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রায় ৮ কিলোমিটার এ ভাবেই সাহায্যের আশায় হেঁটেছে ওই নাবালিকা। পরে আশ্রমের এক পুরোহিত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এলাকাবাসীর এই অমানবিক আচরণ স্তম্ভিত করেছে নেটিজেনদের। ঘটনা নিয়ে ব্যাপক হইচই পড়েছে মধ্য প্রদেশে। ঘটনার তদন্তে জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছিল পুলিশ। এই ধর্ষণকাণ্ড এক অটোচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জীবন খেড়ি এলাকা থেকে একটি অটোতে উঠেছিল ওই নাবালিকা। সিসিটিভি ফুটেজে এর প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। সেই অটোচালক পলাতক ছিলেন। তাঁর অটোতে রক্তের দাগও মিলেছে। ওই অটোর ফরেন্সিক পরীক্ষাও করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আটক হওয়া তিন জনের মধ্যেও এক জন অটোচালক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের পরিচয় জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে উজ্জয়িনীর পুলিশ সুপার সচিন শর্মা জানিয়েছেন, ওই নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল সাটনাতে। এর পর বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ জন লোকের সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছিল নাবালিকার। সেই সবাইকে চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ অফিসার।
প্রসঙ্গত, একটি সিসিটিভি ফুটেজের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছ, অর্ধনগ্ন অবস্থায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ১২ বছরের এক কিশোরী। রাস্তার ধারে অনেকের কাছেই সাহায্য চাইছে সে। কিন্তু সবাই তাকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এ ভাবেই সে এক আশ্রমের সামনে উপস্থিত হয়েছিল। সেখানকার এক পুরোহিত গায়ে কাপড় জড়িয়ে তাকে নিয়ে যায় স্থানীয় হাসপাতালে। মেডিক্যাল পরীক্ষায় নাবালিকাকে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার পরই ঘটনা নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। ওই নাবালিকা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।