Rahul Gandhi Ayodhya: খাড়্গে চেয়েছিলেন নিজের কাছে রাখতে, এবার ‘ঘরহারা’ রাহুলকে ঠাঁই দিতে চান অযোধ্যার ‘ঋষিরা’
Rahul Gandhi Ayodhya: দুঃসময়ে রাহুল গান্ধী অপ্রত্যাশিত সমর্থন পেলেন উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা থেকে। কংগ্রেস নেতাকে মন্দির প্রাঙ্গনে এসে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন হনুমানগড়ী মন্দিরের এক মোহান্ত।
অযোধ্যা: মোদী পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দুই বছরের কারাদণ্ড। খারিজ সাংসদ পদ, হাতছাড়া সরকারি বাংলোও। এই দুঃসময়ে রাহুল গান্ধী অপ্রত্যাশিত সমর্থন পেলেন উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা থেকে। যা সাধারণভাবে বিজেপির গড় হিসেবেই পরিচিত। সেই অযোধ্যারই হনুমানগড়ী মন্দিরের এক মোহান্ত, কংগ্রেস নেতাকে মন্দির প্রাঙ্গনে এসে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন। সোমবার (৩ এপ্রিল), হনুমানগড়ী মন্দিরের মোহান্ত সঞ্জয় দাস বলেছেন, “আমরা, অযোধ্যার ঋষিরা, রাহুল গান্ধীকে এই পবিত্র শহরে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা তাকে আমাদের সঙ্গে এসে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।” সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরই রাহুল গান্ধীকে তাঁর সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে। তারপর, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেছিলেন, রাহুল তাঁর মা সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে থাকবেন। নাহলে তিনি নিজের বাংলোটি ছেড়ে দেবেন পদচ্যুত দলীয় নেতার জন্য। এবার, অযোধ্যার অন্যতন গুরুত্বপূর্ণ মন্দির, হনুমানগড়ী থেকেও বসবাস করার আমন্ত্রণ পেলেন রাহুল গান্ধী।
রাহুলকে স্বাগত
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সঞ্জয় দাস বলেছেন, রাহুল গান্ধী যদি হনুমানগড়ী মন্দির চত্বরে এসে বসবাস করতে চান, তবে তাঁরা কংগ্রেস নেতাকে স্বাগত জানাবেন। তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধীর অযোধ্যায় এসে হনুমানগড়ী মন্দির পরিদর্শন করা উচিত। এখানে এসে তাঁর প্রার্থনা করা উচিত। হনুমানগড়ী মন্দির চত্বরে অনেক আশ্রম আছে। তিনি চাইলে, এখানে এসে আমাদের সঙ্গে আশ্রমে থাকুন। আমরা খুব খুশি হব।”
অপ্রত্যাশিত সমর্থন
প্রসঙ্গত, মোহান্ত সঞ্জয় দাস, হনুমানগড়ীর প্রধান পুরোহিত মোহান্ত জ্ঞান দাসের উত্তরাধিকারী। জ্ঞান দাসের পর তিনিই মন্দিরের প্রধানের দায়িত্ব নেবেন। কাজেই, তাঁর মন্তব্য মন্দির কর্তৃপক্ষের মন্তব্য বলেই গণ্য করা যায়। এর পাশাপাশি, সঞ্জয় দাস সংকট মোচন সেনার সর্বভারতীয় সভাপতিও বটে। তাঁর এই মন্তব্য, রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেসের প্রতি অযোধ্যার এই গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় নেতার সমর্থন প্রদর্শন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তাঁদের মতে বিজেপির গড় থেকে রাহুলের প্রতি এই সমর্থন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
বাংলো ছাড়ার নোটিস
গুজরাটের সুরাটের এক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে, দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে রাহুল গান্ধীর। জনপ্রতিনিধি আইনের বিধান অনুসারে, দুই বছরের কারাদণ্ডের কারণে লোকসভার সদস্যপদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন তিনি। তারপরই তাঁকে তাঁর ১১ জনপথ রোডের বাংলোটি খালি করে দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
১৩ এপ্রিল পর্যন্ত জামিনে রাহুল
নিম্ন আদালত, তাঁকে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে। রায় ঘোষণার দিনই তাঁকে ৩০ দিনের জামিন দেওয়া হয়েছিল। সোমবার, সুরাট জেলা ও দায়রা আদালতে রাহুল নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছেন। জেল আদালত ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে।