Bhaichung Bhutia: ভোটের আগে সিকিমের রাজনৈতিক পট বদল, বড় ঘোষণা বাইচুং ভুটিয়ার
Sikkim politics: বিধানসভা ভোটকে 'পাখির চোখ' করে এবার সিকিমের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল, সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (SDF)-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন প্রাক্তন ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া। তাঁর দল 'হামরো সিকিম পার্টি' এবার SDF-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করলেন ফুটবল দুনিয়া থেকে রাজনীতিতে আসা বাইচুং ভুটিয়া। রাজ্যের উন্নয়নের জন্যই 'সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি' বলে জানান তিনি।
গ্যাংটক: আগামী বছর সিকিমে (Sikkim) বিধানসভা নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবেই ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে। বিধানসভা ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করে এবার সিকিমের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল, সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (SDF)-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন প্রাক্তন ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া। তাঁর দল ‘হামরো সিকিম পার্টি’ এবার SDF-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করলেন ফুটবল দুনিয়া থেকে রাজনীতিতে আসা বাইচুং ভুটিয়া। রাজ্যের উন্নয়নের জন্যই ‘সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি’ বলে জানান তিনি (Bhaichung Bhutia)।
সিকিমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পবন কুমার চামলিংয়ের দল এসডিএফ। এদিন রাবাংলায় এসডিএফ-এর এক অনুষ্ঠানেই যোগদান করেন বাইচুং ভুটিয়া। সেখানেই বক্তৃতা দিতে গিয়ে এসডিএফ-এর সঙ্গে তাঁর হামরো পার্টির যোগদানের কথা ঘোষণা করেন বাইচুং। তিনি বলেন, “আজ আমরা, হামরো সিকিম পার্টি এসডিএফ-এর সঙ্গে সংযুক্ত হলাম, সিকিমকে বাঁচাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যাঁরা সিকিম বাঁচাতে যান, তাঁরা সকলে এসডিএফ-এর সঙ্গে যুক্ত হন।”
২০২৪-এর বিধানসভা নির্বাচনে পবন কুমার চামলিংকে সমর্থন করারও দাবি তোলেন বাইচুং ভুটিয়া। তিনি বলেন, “সিকিমের জন্য লড়াই চালাতে আমাদের সরকারে আসা জরুরি এবং সেটা করতে পারে কেবল এসডিএফ। চামলিং জাতীয় স্তরের রাজনীতিক এবং দেশের সিনিয়ার নেতা হিসাবে সম্মানিত। চামলিংয়ের নেতৃত্বেই সিকিমকে সঠিক রাস্তায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আপনারা ২৫ বছর তাঁর কাজ দেখেছেন।” এদিন সিকিমের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাংকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যের ইতিহাসে ‘দুর্বলতম মুখ্যমন্ত্রী’ বলেও কটাক্ষ করেন বাইচুং ভুটিয়া।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল সিকিম। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও লোনাক হ্রদ বিস্ফোরিত হয়ে ভেসে যায় সংলগ্ন এলাকা। রাজ্যের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চুংথাং বাঁধও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শতাধিক নিখোঁজ হন। এই বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে গিয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো হোটেল গজিয়ে ওঠার কারণকেও তুলে ধরা হয়। যা পরোক্ষে রাজ্য প্রশাসনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পরোক্ষে রাজ্যের অর্থনীতির উপরেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে।