Video: সুড়ঙ্গের মুখে পালকি করে দেবতা নিয়ে হাজির স্থানীয় বাসিন্দারা, অপেক্ষা ‘মিরাকল’-এর
Uttarkashi Tunnel Rescue: উদ্ধারকারীরা অপেক্ষা করছেন একটা মিরাকল বা চমৎকার হওয়ার। আর সেই চমৎকারের সন্ধানেই সম্ভবত, স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন একটি পালকিতে করে এক স্থানীয় দেবতার মূর্তি নিয়ে এলেন দুর্ঘটনাস্থলে। উদ্ধার অভিযানের একেবারে প্রথমদিন থেকেই বিভিন্নভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় মানুষ।
দেরাদুন: উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের পাশে স্থানীয় বাসিন্দারাও। ১২ নভেম্বর থেকে এই সুড়ঙ্গে আটকে আছেন ৪১ জন শ্রমিক। বুধবার থেকে তাদের উদ্ধারকাজে গতি এসেছে। আশা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবারই হয়তো তাঁদের বাইরে বের করা আনা সম্ভব হবে। উদ্ধারকারীরা অপেক্ষা করছেন একটা মিরাকল বা চমৎকার হওয়ার। আর সেই চমৎকারের সন্ধানেই সম্ভবত, স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন একটি পালকিতে করে এক স্থানীয় দেবতার মূর্তি নিয়ে এলেন দুর্ঘটনাস্থলে। উদ্ধার অভিযানের একেবারে প্রথমদিন থেকেই বিভিন্নভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। এদিন গ্রামের মন্দির থেকে পবিত্র দেবতাকে তাঁরা তুলে আনেন ধসে যাওয়া সুড়ঙ্গের মুখে। উদ্ধারকারীদের সঙ্গে সঙ্গে, এগারো দিন ধরে অন্ধকার সুড়ঙ্গের কুঠুরিতে আটকে থাকা শ্রমিকদেরও মনোবল বাড়াতে সহায়ক হল এই স্থানীয় উদ্যোগ।
উত্তরাখণ্ডকে বলা হয় দেবভূমি। রাজ্যের প্রতিটি জেলায়, এমনকি প্রতিটি গ্রামেই স্থানীয় দেব-দেবী রয়েছেন। সিল্কিয়ারা এলাকার গ্রামগুলিতেও স্থানীয় দেব-দেবী আছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রকাশিত এক ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, একটি পালকিতে বসিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দেবতাকে নিয়ে আসছেন দুর্ঘটনাস্থলে। সুড়ঙ্গের ঠিক মুখে, বাঁদিকে একটি অস্থায়ী মন্দির তৈরি করা হয়েছে। সেই মন্দিরে এনে স্থাপন করা হয় দেবতাকে। ঘণ্টা বাজিয়ে, মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা করা হয় সেই দেবতার। #WATCH | Locals bring the ‘doli’ of the local deity to the Silkyara tunnel in Uttarkashi, where an operation is underway to rescue 41 trapped workers pic.twitter.com/MJPasqUMob
— ANI (@ANI) November 23, 2023
সুড়ঙ্গে উদ্ধার প্রচেষ্টা এখন একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। একটি পাইপের মধ্য দিয়ে ট্রলিতে করে শুইয়ে তাদের বাইরে বের করে আনা হবে। সেই পাইপ, শ্রমিকদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। একটানা কাজ করতে করতে যাতে ড্রিল মেশিন খারাপ না হয়ে যায়, তার জন্য এদিন বিকেলে কিছুক্ষণের জন্য কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। তারপর আবার কাজ শুরু হয়েছে। শেষ মুহূর্তে যাতে আর কোনও বাধা না আসে, তার জন্য প্রার্থনা করছেন সবাই।
এদিন, মাটালিতে একটি অস্থায়ী কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে উত্তরাখণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। এদিন দুর্ঘটনাস্থলে এসে নিজে সরেজমিনে উদ্ধারকাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। সুড়ঙ্গের ভিতরেও প্রবেশ করেন তিনি। এদিন তাঁর সঙ্গে উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিং-ও। উদ্ধারকারী সকল সংস্থাগুলিতে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দেন ধামি। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আটা হাসনাইন জানিয়েছেন, “যদি আর কোনও বাধা না আসে এবং ড্রিল মেশিনটি যদি প্রতি ঘণ্টায় ৪-৫ মিটার করে খনন করার গতিতে চলে, তাহলে সম্ভবত শুক্রবার দিনের বেলাতেই আমরা সুখবর দিতে পারব।”