আইন নয়, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই টোটকা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ!

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "যে সমস্ত মহিলারা শিক্ষিত হন, তারা নিজেদের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন বলেই মনে করেন। দীর্ঘ বছর ধরেই আমরা দেখেছি যে যে পরিবারের মহিলারা হাইস্কুলের গণ্ডি পার করেছেন, সেই পরিবারে জনসংখ্যার হার নিয়ন্ত্রণে থাকে।"

আইন নয়, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই টোটকা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ!
ফাইল চিত্র। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2021 | 10:17 AM

পটনা: রাজ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের উপরই জোর দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি বলেন, “রাজ্যের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যর মহিলাদের শিক্ষিত করা ও ক্ষমতায়ন করার উপরই বিশ্বাসী।”

অসম, উত্তর প্রদেশের মতো একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যেই ইতিমধ্যেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনার প্রস্তুতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে এনডিএ জোটসঙ্গী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্য্যপূর্ণ। রাজ্যের জনসংখ্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিহারে আমাদের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি যে রাজ্যে স্কুলের গণ্ডি পার করে উচ্চ শিক্ষার জন্য পা বাড়ানো মেয়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরফলে জনসংখ্যার হারও ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।”

২৭০৫ কোটি টাকা খরচে রাজ্যে ৯৮৯ টি স্বাস্থ্য প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যে সমস্ত মহিলারা শিক্ষিত হন, তারা নিজেদের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন বলেই মনে করেন। দীর্ঘ বছর ধরেই আমরা দেখেছি যে যে পরিবারের মহিলারা হাইস্কুলের গণ্ডি পার করেছেন, সেই পরিবারে জনসংখ্যার হার নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই কারণেই আমরা কন্যাসন্তানদের শিক্ষিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এভাবেই আমরা রাজ্যের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করব। বাকি রাজ্য কী করছে, সে বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না। ”

উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগেই বিজেপি সাংসদরা বিধানসভায় করুণাকরন কমিটির সুপারিশ পেশ করে দাবি জানিয়েছিল যে যাদের পরিবারের দুটির বেশি সন্তান রয়েছে, তারা পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।  এর আগে বিহারে বিজেপি প্রধান সঞ্জয় জয়সওয়ালও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবি জানিয়েছিলেন। যদিও মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমার নয়া আইনের পক্ষে সওয়াল না করে, নারীশিক্ষার উপরই জোর দিয়ে জোটসঙ্গীর মতোমতে ভিন্ন অবস্থান প্রকাশ করলেন। আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রেই সর্বাধিক আক্রান্তের খোঁজ, সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ‘ডেল্টা প্লাস’কেই কি দায়ী করছে কেন্দ্র?