ভিডিয়ো: লন্ডনে গান্ধীজির মূর্তিতে জমা ময়লা চোখে পড়তেই ‘গুরু দায়িত্ব’ কাঁধে তুলে নিলেন তেজস্বী
Bihar: ১৯৩১ সালের তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র্যামসে ম্যাকডোনাল্ডের দফতরে তোলা ছবির ওপর ভিত্তি করে ব্রিটেনে গান্ধীজির এই মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছিল।
লন্ডন: বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। তেজস্বীর দল আরজেডির বিধায়ক ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ব্রিটিশ সংসদের সামনে থাকা মহাত্মা গান্ধীর মুর্তিটি নিজের রুমাল দিয়ে পরিষ্কার করেছেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। নীতীশ কুমার বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করার পর তেজস্বীর আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিহারের সরকার তৈরি করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশ ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তেজস্বী। ২ অক্টোবর গান্ধীজির জন্মদিনের দিন এই ভিডিয়ো নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
विगत महीने लंदन दौरे पर गए @yadavtejashwi जी वेस्टमिंस्टर स्थित ब्रिटिश पार्लियामेंट में लगी राष्ट्रपिता #गांधी_जी की ऐतिहासिक कांस्य प्रतिमा पर श्रद्धांजलि अर्पित करने गए तो उन्होंने मूर्ति को गंदा पाया। ऐसा देख उनसे रहा नहीं गया और वो स्वयं अपने रुमाल से साफ करने लग गए । 1/2 pic.twitter.com/RJ44aNYGtV
— Rishi Kumar (@rishi_mail) October 1, 2022
বিহারের ঔরঙ্গাবাদ জেলার ওবরা সেগমেন্টে থেকে নির্বাচিত আরজেডি বিধায়ক টুইটারে ভিডিয়োটি শেয়ার করে লিখেছেন, “যখন তেজস্বী জাতিক জনকের মূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করতে গিয়েছিলেন, তখন তিনি তাতে ময়লা জমে থাকতে দেখেন। তা দেখে নিজেকে থামাতে না পেরে পকেট থেকে রুমাল বের করে তিনি তা পরিষ্কার করতে শুরু করেন।” আরজেডি বিধায়ক লিখেছেন, “তার চিন্তাভাবনা থেকে প্রমাণিত যে গান্ধীবাদের ওপর তাঁর অগাধ আস্থা।”
তেজস্বীর এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর দু-ভাগে বিভক্ত নেটপাড়া। একদল নেটিজেন তেজস্বীর এই কাজের প্রশংসা করেছেন, অন্য দলের দাবি প্রচার আলোতে আসার জন্য এই বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী এই কাজ করেছেন।
১৯৩১ সালের তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র্যামসে ম্যাকডোনাল্ডের দফতরে তোলা ছবির ওপর ভিত্তি করে ব্রিটেনে গান্ধীজির এই মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গান্ধীজির ভারতে ফিরে আসার ১০০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে মূর্তিটি উদ্বোধন করেন। কয়েক বছর আগে বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনকারী এই মূর্তিতে রঙ দিয়ে নিজেদের প্রতিবাদের স্লোগান লিখেছিল।