Tejashwi Yadav: ‘বারবার যাতায়াতে সমস্যা, আমার বাড়িতেই থেকে যান’, ইডি-সিবিআইকে আমন্ত্রণ তেজস্বীর
Tejashwi Yadav: বাকি বিরোধী দলগুলির মতো তেজস্বী যাদবও অভিযোগ করেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি বিজেপির নিজস্ব সেল হিসাবে কাজ করছে। তবে তিনি ইডি বা সিবিআইকে ভয় পান না বলেই জানান।
পটনা: বিহারের পালাবদলে রাতারাতি বিরোধী দলনেতা থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন তিনি। আর নতুন জোট তৈরি হতেই আরও যেন সাহসী হয়ে উঠলেন তেজস্বী। ইডির তল্লাশির মুখে পড়লে কী করবেন, এই প্রশ্ন শুনেই উত্তর দিলেন, “আমি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে আমন্ত্রণ জানাব, থাকতে বলব”।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই সরকার ভেঙেছে বিহারে। এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে আসে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ। রাতারাতি হাত মেলান প্রাক্তন জোটসঙ্গী আরজেডি, কংগ্রেস সহ মোট সাতটি দলের সঙ্গে। তৈরি হয় মহাগঠবন্ধন সরকার। নতুন সরকারে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নীতীশ কুমার। উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বৃহস্পতিবারই তিনি প্রথম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। এনডিটিভিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। সম্প্রতিই একের পর এক বিরোধী দল অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকার ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতেই ইডি হানা দিচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। তেজস্বী যাদবের বাড়িতে যদি হঠাৎ ইডি হাজির হয়, তবে তিনি কী করবেন? এই প্রশ্নেরই উত্তর জানতে চাওয়া হয় তেজস্বীর কাছে।
কঠোর স্বরেই তেজস্বী জবাব দিয়ে বলেন,”তদন্তকারী সংস্থারা আমার বাড়িতেই অফিস খুলে নিক। আমি সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতর, সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আসুন এবং যতক্ষণ ইচ্ছা থাকুন। কেন বারবার দুই মাস অন্তর এসে তল্লাশি চালাবেন? তার থেকে একেবারেই থেকে যান। এতে কাজের সুবিধা হবে।”
বাকি বিরোধী দলগুলির মতো তেজস্বী যাদবও অভিযোগ করেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি বিজেপির নিজস্ব সেল হিসাবে কাজ করছে। তবে তিনি ইডি বা সিবিআইকে ভয় পান না বলেই জানান।
উল্লেখ্য, তেজস্বী যাদব ও তাঁর গোটা পরিবারের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে ইতিমধ্যেই দুমকা ট্রেজারি ও পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় জেল খাটতে হয়েছে। তেজস্বীর মা রাবড়ি দেবীর বিরুদ্ধেও মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ২০১৭ সালে তেজস্বী ও তেজ প্রতাপ যাদবের নামে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরই জোট ভেঙে দিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। দুর্নীতিপরায়ণদের সঙ্গে সরকার চালাবেন না বলেই তিনি সেই সময় জানিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে সেই দলের সঙ্গেই ফের একবার হাত মিলিয়েছেন নীতীশ।