Nirmala Sitharaman: বিনামূল্যে সরকারি সুবিধা নিয়ে কেজরীকে কটাক্ষ নির্মলার, নেপথ্যে কি আপের ‘গুজরাট প্রতিশ্রুতি’?
Nirmala Sitharaman: পঞ্জাবের পর আপের নজর এবার মোদী গড় গুজরাটে। চলতি বছরের শেষে ভোট রয়েছে সেখানে। এদিকে ভোট বৈতরণী পার করে মসনদে বসতে ইতিমধ্যে বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল।
নয়া দিল্লি: বিনামূল্যে সরকারি সুবিধা নিয়ে শুক্রবারই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal)। এবার পাল্টা আক্রমণ শানাতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে (Nirmala Sitharaman)। যা নিয়েই জোরদার চর্চা চলছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। কেজরীর কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করে। বছরে পেট্রোল-ডিজেল থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের ৩ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। এরপরেও দেশের গরিব মানুষদের বিনামূল্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিতে নারাজ তাঁরা।” তাঁর এ মন্তব্যেরই পাল্টা দিতে দেখা গেল নির্মলাকে।
নির্মলার কথায়, “স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাকে কখনওই বিনামূল্যের বলা হয়নি। কোনও ভারত সরকারই এগুলিকে অস্বীকার করেনি। তাই শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যকে বিনামূল্য হিসাবে বলে কেজরীবাল দরিদ্রদের মনে উদ্বেগ ও ভয়ের অনুভূতি আনার চেষ্টা করছেন। এই বিষয়ে একটি সত্যিকারের বিতর্ক হওয়া উচিত।” যদিও আগেই কেজরীবাল প্রশ্ন করেছিলেন, “কোনও গরিব মানুষ অথবা ভিক্ষুক যদি বাজার থেকে প্রয়োজনীয় গম কিনে থাকেন, তবে তাদেরকে কর দিতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক অবস্থায় নিশ্চয়ই কোনও সমস্যা আছে সেই কারণে তাদের গরিব মানুষের কাঁধেও করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।” যা নিয়েও বিস্তর চাপানউতর শোনা গিয়েছিল রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, শেষ বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত রাজনৈতিক সমীকরণকে ওলটপালট করে দিয়ে পঞ্জাবে মসনদে বসেছিল কেজরীবালের সরকার। এদিকে পঞ্জাবের পর আপের নজর এবার মোদী গড় গুজরাটে। চলতি বছরের শেষে ভোট রয়েছে সেখানে। এদিকে ভোট বৈতরণী পার করে মসনদে বসতে ইতিমধ্যে বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি বলেছেন গুজরাটের সাধারণ মানুষ যদি আপকে ক্ষমতায় আনে তাহলে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে বেকারদের দেওয়া হবে ৩ হাজার টাকার মাসিক ভাতা। এই প্রেক্ষাপটে ‘বিনামূল্য’ সরকারি সুযোগ নির্মলা-কেজরী বিতর্ক যে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ তা মানছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।