Bilkis Bano gang rape: ‘কী চাইছেন স্পষ্ট বুঝতে পারছি…’, বিলকিস বানো মামলায় আসামী পক্ষকে সুপ্রিম ধমক

Bilkis Bano gang rape: আসামীদের পক্ষের আইনজীবীরা বর্তমান বেঞ্চকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলার আসামীদের সাজা মকুবের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা মামলার শুনানিতে, মঙ্গলবার (২ মে), তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট।

Bilkis Bano gang rape: 'কী চাইছেন স্পষ্ট বুঝতে পারছি...', বিলকিস বানো মামলায় আসামী পক্ষকে সুপ্রিম ধমক
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 02, 2023 | 9:14 PM

নয়া দিল্লি: বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলার আসামীদের সাজা মকুবের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা মামলার শুনানিতে, মঙ্গলবার (২ মে), তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি কেএম জোসেফ এবং বিভি নাগারত্নর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের মতে, আসামীদের পক্ষের আইনজীবীরা বর্তমান বেঞ্চকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কারণ, বেঞ্চের নেতৃত্বে থাকা বিচারপতি কেএম জোসেফ শীঘ্রই অবসর নেবেন। এদিন পাল্টা হলফনামা দাখিল করার জন্য সময় চেয়ে মামলার শুনানি স্থগিত রাখার আবেদন করেছিলেন আসামীদের আইনজীবী। এই প্রসঙ্গে অসন্তোষ প্রকাশ করে, বিচারপতি জোসেফ বলেন, “কী চেষ্টা করা হচ্ছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ১৬ জুন আমার অবসর এবং ১৯ মে আমার শেষ কর্মদিবস। স্পষ্টতই আপনারা চাইছেন, যাতে এই বেঞ্চে মামলাটি না শোনা হয়। আইনজীবীরা প্রাথমিকভাবে আদালতের কর্তা, সেই ভূমিকাটি ভুলে যাবেন না। আপনারা কোনও মামলা জিততে পারেন বা হারতেও পারেন, কিন্তু আপনার দায়িত্ব ভুলে যাবেন না।”

এদিনের শুনানিতে কেন্দ্র এবং গুজরাট রাজ্য সরকারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলার ১১ আসামীর সাজা মকুবকে চ্যালেঞ্জ করে করা জনস্বার্থ মামলার আবেদনগুলির মেইন্টেইনিবিলিটি অর্থাৎ, আদৌ সেই আবেদনগুলি আদালতে ধোপে টিকবে কিনা, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর দাবি, এই জাতীয় বিষয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি করা হলে, তা একটি খারাপ নজির স্থাপন করবে। তুষার মেহতা বলেন, “বিষয়টি ১১ জনের সাজা মকুবের বিষয়। এই ক্ষেত্রে যদি যে কোনও ব্যক্তির আবেদন মঞ্জুর করা হয়, তবে আইন খারাপ অবস্থানে পড়বে। এই নজির স্থাপন করা উচিত নয়।”

বিলকিস বানো বাদে, অন্যান্য আবেদনকারীদের এক্তিয়ার বিষয়ে সরকারের বক্তব্য প্রথমে শোনার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু আদালত জানায়, বিলকিস বানোর আবেদনের শুনানিই প্রথমে হবে। এদিন অবশ্য আদালতে সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন, আগের শুনানির সময় আসামীদের সাজা মকুবের ফাইলগুলি আদালতে জমা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র এবং গুজরাট রাজ্য সরকারকে যে আদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত, সেই আদেশের পর্যালোচনার জন্য কোনও আবেদন দায়ের করা হবে না। সাজা মকুবের নথির উপর কোনও বিশেষাধিকার দাবি করা হবে না। নথিগুলি খতিয়ে দেখার জন্য সেগুলি শীর্ষ আদালতের সঙ্গে ভাগ করে নিতে সম্মত হয়েছে দুই সরকারই।

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল ১১ জনকে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত এই ১১ আসামীকে গত বছরের ১৫ অগস্ট মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিলকিস বানো-সহ বেশ কয়েকজন। সেই একগুচ্ছ আবেদনের ভিত্তিতে ২০২২-এর ২৫ অগস্ট গুজরাট সরকারের প্রতিক্রিয়া চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। চলতি বছরের মার্চে সেই আবেদনগুলির প্রেক্ষিতে নোটিস জারি করেছিল শীর্ষ আদালত। এদিন আদালত জানিয়েছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৯ মে-র পর।