Kailash Vijayvargiya : ‘বিজেপি অফিসের নিরাপত্তারক্ষী হতে পারবেন অগ্নিবীররা,’ চাকরির ‘প্রস্তাব’ দিয়ে বিরোধীদের নিশানায় কৈলাস
Kailash Vijayvargiya On Agnipath : কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে দেশ জুড়ে ফুঁসছে যুব সমাজের একাংশ। এর মধ্যেই অগ্নিবীরদের নিয়োগ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি নেতা।
নয়া দিল্লি : অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। যুব সমাজ এই প্রকল্প নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। দেশজুড়ে বিক্ষোভের আগুনও জ্বলছে এই নিয়োগ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে। এহেন পরিস্থিতিতে অগ্নিবীরদের চাকরি দেওয়া নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি এদিন বলেছিলেন, বিজেপির দফতরে যদি কোনও নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে হয় সেক্ষেত্রে অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিজেপি অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘সেনার প্রশিক্ষণে প্রথমে আসে শৃঙ্খলা, দ্বিতীয় নির্দেশ পালনের অনুশাসন। যখন তাঁরা (অগ্নিবীর) প্রশিক্ষণ নেবে এবং চার বছর পর সেনা থেকে বের হবে…সাড়ে ১৭ থেকে ২৩ বছর বয়সের মাঝে…কেউ যদি ২১ বছরেও ঢোকে তাহলে তিনি ২৫ বছর বয়সে সামরিক বাহিনী ছেড়ে বের হবেন। ২৫ বছর বয়সে তিনি যখন এই নিয়োগ ছাড়বেন তখন তাঁর হাতে থাকবে ১১ লক্ষ টাকা। বুকে অগ্নিবীরের তকমা লাগিয়ে তিনি ঘুরতে পারবেন। যেকোনও অফিসে… যদি এই বিজেপির অফিসেই আমাকে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে হয় তাহলে আমি অগ্নিবীরকে অগ্রাধিকার দেব। আপনারাও নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে হলে তাঁদের অগ্রাধিকার দিতে পারেন।’ দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মাঝেই একাধিক বিজেপি নেতা অগ্নিবীরের সুবিধাগুলি তুলে ধরেছেন এবং এর পক্ষে সওয়াল করেছেন। তিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফেও একাধিকবার এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও সুবিধা ব্যাখ্য়া করা হয়েছে। তবে এদিন বিজেপি নেতার মন্তব্যে বিরোধীরা সমালোচনার আরও একটি সুযোগ পেলেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
Now we know what the BJP really meant when they launched the campaign in 2019, ‘Main Bhi Chowkidaar’… pic.twitter.com/CE8pbcAfNg
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) June 19, 2022
The youth of India is not meant to be door keepers of @BJP4India offices.
The young power wants to serve this nation unlike the Modi government. The Prime Minister should clarify whether these are also comments by ‘fringe’ elements.https://t.co/CGbbqTM27z
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) June 19, 2022
প্রথম থেকেই কেন্দ্রের এই প্রকল্পের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন,কৃষি আইনের মতো এই প্রকল্পও প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে কেন্দ্র। কৈলাস বিজয়বর্গীর এই মন্তব্যের পর সাপে বর হয়েছে বিজেপির। শাসক শিবিরের সমালোচনার এই সুযোগ হাতছাড়া করেননি তারা। কংগ্রেস নেতা টুইটে বলেছেন, ” ২০১৯ সালে বিজেপির চালু করা ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ অভিযান কী কারণে করা হয়েছিল তা এখন বোঝা যাচ্ছে।” এদিকে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই বক্তব্যের সমালোচনা করে টুইট করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘বিজেপির অফিসের দ্বাররক্ষী হওয়ার জন্য ভারতের যুবকরা জন্মায়নি। এই যুব সমাজ দেশের জন্য কাজ করতে চায়।’ বিজেপি নেতার মন্তব্য নিয়ে যখন বিতর্ক শুরু হয়েছে তার আগেই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ‘অগ্নিবীর’-দের জন্য চাকরিতে সংরক্ষণ নিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে।