Sex Worker: যৌনপল্লীতে হানা দিলেই যৌনকর্মীদের গ্রেফতার নয়, জানাল আদালত

Brothel: মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদনকারী ওই ব্যক্তিকে সম্প্রতি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের চিন্তাদ্রিপেটের এলাকার একটি যৌনপল্লী থেকে গ্রেফতার করেছিল তাঁকে।

Sex Worker: যৌনপল্লীতে হানা দিলেই যৌনকর্মীদের গ্রেফতার নয়, জানাল আদালত
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2022 | 7:20 PM

চেন্নাই: যৌনপল্লীতে অভিযান চালালেই যৌনকর্মীদের গ্রেফতার বা জরিমানা করা উচিত নয় পুলিশের। এক ব্যক্তির করা মামলার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়কে উদ্ধৃত করে হাইকোর্ট জানিয়েছে, বিভিন্ন কারণে পুলিশকে যৌনপল্লীতে অভিযান চালাতে হয়। কিন্তু সেখানে অভিযান চালানোর সময় যৌনকর্মীদের গ্রেফতার, হেনস্থ, জরিমানা করা উচিত নয় পুলিশের। অবৈধ ভাবে যৌন কারবারে চালানো হয়, তখনই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সম্প্রতি যৌনপল্লীর এক খরিদ্দার মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি আবেদন জানান। সেই প্রেক্ষিতেই বিচারপতি এন সতীশ কুমার এ কথা বলেছেন। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলাও খারিজ করেছে আদালত।

মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদনকারী ওই ব্যক্তিকে সম্প্রতি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের চিন্তাদ্রিপেটের এলাকার একটি যৌনপল্লী থেকে গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, চিন্তাদ্রিপেটের একটি মাসাজ পার্লারে পুলিশি অভিযোগের সময় যৌনকর্মীদের সঙ্গেই ছিলেন ওই ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি আদালতে আবেদন করেন, তিনি ওই মাসাজ পার্লার চালানোর সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি কেবলই খরিদ্দার হিসাবে সেখানে গিয়েছিলেন।

সেই আবেদনের শুনানির পর বিচারপতি বলেছেন, “মামলার আবেদনকারী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের এফআইআর বলছে যৌনপল্লী চালানোর পিছনে রয়েছে ওই ব্যক্তির থাকার উল্লেখ নেই পুলিশের দায়ের করা এফআইআর-এ। ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌনকর্মীদের বাধ্য করেছেন আবেদনকারী, এমন কোনও ঘটনা এ ক্ষেত্রে ঘটেনি।” আদালত আরও জানিয়েছে, যৌনপল্লীতে যৌনতা করা অপরাধ নয়। অবৈধ যৌনপল্লী চালানো অপরাধ। নিজের ইচ্ছায় যদি যৌনকর্মীরা যৌনতা করেন, তাঁদের যদি বাধ্য বা জোর না করা হয়, তাহলে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়া তা অপরাধ হিসাবে গন্য হয় না। তাই কোনও যৌনপল্লীতে অভিযান চালালে নিজের ইচ্ছায় সেখানে কাজ করা যৌনকর্মীকে হেনস্থা করা পুলিশের উচিত নয়।

এই মামলায় আবেদনকারী যৌনকর্মীদের সে কাজে বাধ্য করেছেন বা জোর করে নামিয়েছেন, এ রকম কোনও অভিযোগ নেই। তাই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাও বৈধ নয়। এর পরই মামলাটি খারিজ করে দেন বিচারপতি।