অম্বানী ভবনকাণ্ড: বিস্ফোরক রাখার পিছনে কি ‘তিহার জেল’ যোগ? ধন্দে পুলিশ

২৫ ফেব্রুয়ারি মুকেশ অম্বানী(Mukesh Ambani)-র বাড়ির সামনে যে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছিল, তার দায়স্বীকার করে নিয়েছিল জইশ-উল-হিন্দ(Jaish-ul-Hind)। তদন্তে এবার জানা গেল, দিল্লির তিহার জেল(Tihar Jail)-র আশেপাশের কোনও এলাকা থেকেই মেসেজটি পাঠানো হয়েছিল।

অম্বানী ভবনকাণ্ড: বিস্ফোরক রাখার পিছনে কি 'তিহার জেল' যোগ? ধন্দে পুলিশ
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Mar 11, 2021 | 5:14 PM

মুম্বই: ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর বাসভবন “অ্যান্টিলিয়া”(Antilia)-র সামনে বিস্ফোরক রাখার ঘটনায় টেলিগ্রাম মাধ্যমে দায়স্বীকার করে নিয়েছিল জইশ-উল-হিন্দ(Jaish-ul-Hind)। তবে কোথা থেকে সেই বার্তা এসেছিল, তা খুঁজতে গিয়ে মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police) পৌঁছল তিহার জেলে (Tihar Jail)। যতদিন গড়াচ্ছে, ততই রহস্য গভীর হচ্ছে অম্বানী ভবনের সামনে বিস্ফোরক রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। বৃহস্পতিবার মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক জানান, যে টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে ঘটনার দায়স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল, তা দিল্লির তিহার এলাকাতেই তৈরি হয়েছিল।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্ট্রির মালিক মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে থেকে একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধার করা হয়। গাড়িটির ভিতর থেকে ২০টি জিলেটিন স্টিক (Gelatin Stick) ও ডিটোনেটর (Detonator) উদ্ধার করে মুম্বই পুলিশ। তদন্ত শুরুর দু’দিন পরেই পুলিশ জানায়, জঙ্গি সংগঠন জইশ-উল-হিন্দ বিস্ফোরক রাখার দায়স্বীকার করে নেয়। হুমকি বার্তায় আরও বড় নাশকতার পরিকল্পনার বিষয়ে উল্লেখ করে তাঁরা ক্রিপ্টোকারেন্সি(cryptocurrency)-র মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থও দাবি করেন। একটি লিঙ্কও দেওয়া হয়। যদিও পরেরদিনই ফের একটি মেসেজ ভাইরাল হয় যেখানে বলা হয়, এই ঘটনার পিছনে জইশ-উল-হিন্দের কোনও ভূমিকা নেই।

আরও পড়ুন: ১ বছর বাদেই বয়স হবে ১০০, টিকা নিলেন প্রধানমন্ত্রীর মা, মোদী বললেন…

তদন্তে নেমে পুলিশ জানায়, উল্লেখিত ওই লিঙ্কটিতে ক্লিক করলেও তা খুলছে না। এর প্রেক্ষিতেই ধরে নেওয়া হয় যে দাবিটি ভুয়ো। কিন্তু মেসেজের চ্যানেল খুঁজতে গিয়ে তাঁরা দেখেন যে, ২৬ ফেব্রুয়ারি লিঙ্কটি তৈরি হয়েছিল এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকালে ঘটনার দায়স্বীকার করা হয়েছিল। মেসেজের উৎস খুঁজতে গিয়েই জানা যায়, যে ফোনটি থেকে মেসেজটি পাঠানো হয়েছিল, তা সেই সময় তিহার জেলের আশেপাশেই ছিল। ইতিমদধ্যেই দিল্লি পুলিশকে এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।

অন্যদিকে, গাড়ি মালিক মনসুখ হিরনের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই তদন্তভার মুম্বইয়ের অপরাধ দমন শাখার হাত থেকে কেড়ে নেয় এনআইএ। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে(Uddhav Thackeray)।

আরও পড়ুন: মেয়েদের সঙ্গে কু-আচরণ মদ্যপ স্বামীর, রাগে ‘উচিত শিক্ষা’ দিলেন স্ত্রী