Delhi Suspected Bomb: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই ফের বোমাতঙ্ক দিল্লিতে, দুই পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরে চাঞ্চল্য
National capital: জানা গিয়েছে, দুটি পরিত্যক্ত ব্যাগের খবর দেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশের কাছে ফোন আসে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিশ বাহিনী।
নয়া দিল্লি: দিল্লিতে আবার বোমাতঙ্ক! পূর্ব দিল্লির ত্রিলোকপুরীতে দুটি পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, পরিত্যক্ত ব্যাগ দুটি ঘিয়ে এলাকায় বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ব্যাগ দুটি থেকে একটি ল্যাপটপ, চার্জার ও জলের বোতল উদ্ধারের পর উদ্বেগ কিছুটা কমে। পূর্ব দিল্লির ডেপুটি কমিশনার প্রিয়াঙ্কা কাশ্যপ জানিয়েছেন, “ব্যাগ থেকে একটি ল্যাপটপ, টিফিন বক্স, চার্জার, জলের বোতল ও কিছু খাবার দাবার পাওয়া গিয়েছে। ভুলবশত যে ব্যক্তিটি ব্যাগটি ফেলে গিয়েছিলেন তাঁকে ইতিমধ্যেই সনাক্ত করা হয়েছে। কোনও সন্দেহভাজন বস্তু পাওয়া যায়নি।”
জানা গিয়েছে, দুটি পরিত্যক্ত ব্যাগের খবর দেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশের কাছে ফোন আসে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিশ বাহিনী। সম্প্রতি দিল্লি উত্তর প্রদেশ সীমান্তে গাজ়িপুর ফুলের বাজার থেকে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগে আইইডি বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছিল। মাটিতে ৮ ফুট গর্ত খুড়ে ওই বিস্ফোরকটি নিষ্ক্রিয় করেছিল এনএসজি কমান্ডোরা। পরে এনএসজির তরফে দিল্লি পুলিশকে জানানো হয়, ফুলের বাজার থেকে পাওয়া আইডি বোমার সঙ্গে একটি টাইমার ডিভাইস যুক্ত ছিল এছাড়াও ওই বোমাতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও আরডিএক্স কমপোনেন্ট ব্যবহার করা হয়েছিল।
আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, ফুলের মার্কেট থেকে যে আইডি পাওয়া গিয়েছিল খুব সম্ভবত তা পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে কাশ্মীর বা পঞ্জাবে পাঠানো হয়েছিল। এনএসজি আধিকারিকদের মতে দিল্লির ফুলে বাজার থেকে উদ্ধার হওয়া বোমার আইইডি ও আরডিএক্স বিশ্লেষণ করে তাদের মনে হয়েছে এর পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএস আইয়ের হাত থাকতে পারে।
সামনে প্রজাতন্ত্র দিবস। দিল্লি জুড়ে ইতিমধ্যেই হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গাজিপুরের ফুলের মার্কেট থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় দিল্লি পুলিশের তরফে বাড়তি সতর্কতাও নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশকে রাজধানীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে নিরাপত্তা কারণে, রাজধানীর রাজপথে ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম বসানো সহ ৩০০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সিস্টেমে ৫০ হাজার জন্য সন্দেহভাজন অপরাধীর তথ্য থাকবে। ক্যামেরাতে তাদের দেখা পাওয়া গেলেই সঙ্গে সঙ্গে তাদের সনাক্ত করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন Aparna Yadav: রয়েছে বিদেশি ডিগ্রি, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতেও পারদর্শী যাদব পরিবারের ‘ছোটি বহু’ অপর্ণা