Arunachal Frontier Highway: লাল ফৌজের দাপাদাপির চোখা জবাব, অরুণাচলে এই রাস্তায় মুঠোয় থাকবে সীমান্ত
Arunachal Pradesh: কেন্দ্রের তরফে জানা গিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং থেকে শুরু হবে ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে। চিন-অরুণাচল সীমান্তে আপার সুবনসিরি, আপার সিয়াং, দিবাং ভ্যালি, কিবিথু হয়ে মায়ানমার সীমান্তের বিজয়নগরে এসে শেষ হবে এই রাস্তা।
নয়া দিল্লি: বিপদে পাশে দাঁড়ানো তো দূর, প্রতিবেশীরা বরাবরই জ্বালাতন করেছে ভারতকে। একদিকে পাকিস্তান, অন্যদিকে চিন-দুই দেশের সঙ্গেই নরম-গরম সম্পর্ক ভারতের। মাঝেমধ্যেই সীমান্ত টপকিয়ে আগ্রাসন দেখায় লাল ফৌজ। কখনও পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা, আবার কখনও অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং- সীমান্ত পার করে প্রায়সময়ই ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে চিন। অরুণাচল প্রদেশ ঘেঁষেই আবার রেলপথ তৈরি করছে জিনপিং সরকার। এতে সীমান্তে তাদের দাপাদাপি বাড়বে, তা বলার প্রশ্ন রাখে না। তবে হাত গুটিয়ে বসে নেই ভারত সরকারও। অরুণাচল প্রদেশেই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর তৈরি হচ্ছে নতুন হাইওয়ে। এই রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে দ্রুত সীমান্তে পৌঁছে যেতে পারবে ভারতীয় সেনা। ফলে চিন অনুপ্রবেশের সুযোগ পাবে না।
অরুণাচল প্রদেশে তৈরি হচ্ছে নতুন ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে। ১৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তার জন্য খরচ হবে আনুমানিক ৪০ হাজার কোটি টাকা। এটি দেশের মধ্যে অন্যতম বড় ও কঠিন রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প। আগামী ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে প্রকল্প শেষ করার সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। এই রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে, জরুরি ভিত্তিতে অরুণাচলের যে কোনও জায়গা থেকে চিন সীমান্তে পৌঁছে যেতে পারবে ভারতীয় সেনা বাহিনী। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ভারতের মাটির মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরেই তৈরি হচ্ছে এই রাস্তা।
কেন্দ্রের তরফে জানা গিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং থেকে শুরু হবে ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে। চিন-অরুণাচল সীমান্তে আপার সুবনসিরি, আপার সিয়াং, দিবাং ভ্যালি, কিবিথু হয়ে মায়ানমার সীমান্তের বিজয়নগরে এসে শেষ হবে এই রাস্তা। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন ও কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক যৌথভাবে এই রাস্তা তৈরি করছে।
কেন এই রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে?
অরুণাচল প্রদেশের আপার সিয়াং জেলা থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে নিয়াংচি পর্যন্ত রেলপথ তৈরি করেছে চিন। ইতিমধ্যেই ট্রেন চলাচলও শুরু হয়েছে। নিয়াংচি-এই নতুন বেস তৈরি করেছে লালফৌজ। নিয়াংচি থেকে লাসা পর্যন্ত রাস্তাও রয়েছে। এই সব কিছুই তৈরি করা হয়েছে যাতে চিনের সেনা তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণ রেখায় পৌঁছতে পারে। সেক্ষেত্রে ভারত তো পিছিয়ে থাকতে পারে না। ফলে ভারত সরকারও পাল্টা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শুধু রাস্তা নয়। চিনা আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখে সেনার জন্য দুই হাত ঢেলে খরচ করতে কমতি রাখছে না সরকার। ২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান সংঘর্ষের পর, বিগত ৩ বছরে সেনার জন্য ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। চিন সীমান্তে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে অত্যাধুনিক অস্ত্র ছাড়াও কেনা হয়েছে উন্নত প্রযুক্তির নানা যুদ্ধ সরঞ্জাম।