Yuvraj Singh: লাইভ চ্যাটে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের জেরে মামলা, আদালতের রায়ে কিছুটা স্বস্তি পেল যুবরাজ

Yuvraj Singh's Casteist Comment: আদালতে যুবরাজ সিংয়ের সপক্ষে হাজির কাউন্সিল পুনীত বালি জানান, কোনও ধরনের বিদ্বেষ, শত্রুতা বা জনজাতি/উপজাতিদের বিরুদ্ধে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে যুবরাজ সিং কোনও মন্তব্য করেননি।

Yuvraj Singh: লাইভ চ্যাটে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের জেরে মামলা, আদালতের রায়ে কিছুটা স্বস্তি পেল যুবরাজ
যুবরাজ সিং। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 12, 2021 | 2:29 PM

নয়া দিল্লি: ইন্সটাগ্রাম লাইভ চ্যাটে (Instagram Live Chat) কথা বলতে গিয়ে অপর এক খেলোয়াড় সম্পর্কে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল ক্রিকেটার যুবরাজ সিং(Yuvraj Singh)-র বিরুদ্ধে। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে গত বছর তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের হয়। গত সপ্তাহে সেই মামলার শুনানিতেই পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের (Punjab & Haryana High Court) তরফে জানানো হল, হরিয়ানা পুলিশ যুবরাজ সিংয়ের গ্রেফতারির আবেদন জানিয়েছে। তবে গ্রেফতার করা হলেও তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিনে (Interim Bail) মুক্তি দেওয়া যাবে।

গত সপ্তাহেই বিচারপতি অমল রতন সিংয়ের বেঞ্চে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি শুরু হয়। আদালতের তরফে জানানো হয়, গতবছর ইন্সটাগ্রামে লাইভ চ্যাট চলাকালীন যুবরীজ সিং অপর এক ক্রিকেটারের নামে যে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেছিলেন, তার প্রেক্ষিতে হরিয়ানা পুলিশ যুবরাজ সিংকে গ্রেফতার করতে চায়। যদি যুবরাজকে গ্রেফতার করা হয়, তবে জামিনের কাগজ ও ব্যক্তিগত বন্ডে তিনি অন্তর্বর্তী জামিন পেতে পারেন।

গত বছর রজত কালসান নামক এক ব্যক্তি যুবরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ (শত্রুতা ছড়ানো) ও ১৫৩বি (জাতীয় ঐক্যের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক কার্যকলাপ) এবং জনজাতি ও উপজাতি সংরক্ষণ ও  নৃশংসতা আইন ১৯৮৯-র অধীনে এফআইআর দায়ের করেন। ওই এফআইআর খারিজ করতেই আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন যুবরাজ সিং।

আদালতে যুবরাজ সিংয়ের সপক্ষে হাজির কাউন্সিল পুনীত বালি জানান, কোনও ধরনের বিদ্বেষ, শত্রুতা বা জনজাতি/উপজাতিদের বিরুদ্ধে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে যুবরাজ সিং কোনও মন্তব্য করেননি। ভাং খাওয়া নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও এক ব্যক্তি সম্পর্কে তিনি ওই মন্তব্য করেছিলেন।

আদালত পর্যবেক্ষণ করে যে, এর আগে, ১৫ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানিতে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসাবে যুবরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও বলপূর্বক পদক্ষেপ করা হবে না বলেই জানানো হয়েছিল। তবে, যেহেতু হরিয়ানার এসপি নিজেই ১৯৮৯ সালের এসসি/এসটি আইনের ১৮-এ (বি) ধারায় যুবরাজ সিংকে গ্রেফতার করতে চেয়েছিলেন, তার প্রেক্ষিতে আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল, যেহেতু যুবরাজ তদন্তে সহযোগিতা করেছে, সেই কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও ব্যক্তিগত বন্ডে তিনি অন্তর্বর্তী জামিনে পেতে পারেন। সুপ্রিম কোর্টে নিহারীকা ইনফ্রাস্টাকচার বনাম মহারাষ্ট্র সরকারের মামলার উদাহরণ দিয়ে আদালতের তরফে জানানো হয়, কোনও বলপূর্বক  পদক্ষেপ যেন না করা হয় এবং অভিযুক্তকে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনের জন্য সুযোগ দেওয়া হয়।

যদিও মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে এখনও অবধি যুবরাজ সিং অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেননি এবং হরিয়ানা পুলিশের তরফেও তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করা হয়নি। তবে তদন্তে যোগ দেওয়ার পরই আদালতের তরফে তাঁকে জামিনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে আদালতের তরফে মামলাকারী ও পুলিশকে আলাদাভাবে হলফনামা দায়েরের স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে যদি তারা এই বিষয়ে আরও কোনও তথ্য বা আবেদন সংযোজন করতে চান। মামলাকারী তাঁর প্রথম হলফনামায় কেবল গ্রেফতারির আবেদনই জানিয়েছিলেন। আগামী ১৮ নভেম্বর মামলার পরিবর্তী শুনানি রয়েছে। যুবরাজ সিংয়ের আইনজীবীর তরফে আদালতে এফআইআর বাতিল করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: এবার শিশুরাও পাবে করোনা টিকা, জরুরিভিত্তিক ছাড়পত্র পেল ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন