সিবিএসই রেজাল্টে মন না ভরলে কবে ঐচ্ছিক পরীক্ষা? জানাল কেন্দ্র

যাঁরা পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক, তাঁদের সিবিএসই ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। cbse.nic.in ওয়েবসাইটে গেলেই মিলবে রেজিস্ট্রেশনের অপশন।

সিবিএসই রেজাল্টে মন না ভরলে কবে ঐচ্ছিক পরীক্ষা? জানাল কেন্দ্র
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 21, 2021 | 2:28 PM

নয়া দিল্লি: সিবিএসই (CBSE) দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করেছে কেন্দ্র। করোনা আবহে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও। বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতিতে এ বার সিবিএসই দ্বাদশ ও দশমের ফল প্রকাশ হবে। কিন্তু যদি কেউ সেই রেজাল্টে খুশি না হন, তাহলে থাকছে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, অগস্টের ১৫ তারিখ থেকে সেপ্টম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে হবে ঐচ্ছিক ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা।

যাঁরা পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক, তাঁদের সিবিএসই ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। cbse.nic.in ওয়েবসাইটে গেলেই মিলবে রেজিস্ট্রেশনের অপশন। সিবিএসই আগেই জানিয়েছে দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে ‘বেস্ট অফ থ্রি’ বেছে নেওয়া হবে। অর্থাৎ, যে তিনটি বিষয়ে সর্বাধিক নম্বর পেয়েছে পড়ুয়া, সেই তিনটি বিষয়ের মোট নম্বরের ৩০ শতাংশ মূল রেজাল্টে যুক্ত হবে। ওই নম্বরটি প্রত্যেক বিষয়েই যুক্ত করা হবে। অর্থাৎ কেউ যদি তিনটি বিষয়ে ১০০ পেয়ে থাকে, তাহলে তার সেই নম্বরের ৩০ শতাংশ অর্থাৎ গড়ে ৩০ করে যুক্ত হবে সব বিষয়ে।

একাদশের ক্ষেত্রে প্রত্যেক বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ৩০ শতাংশ যুক্ত করা হবে মূল রেজাল্টে। অর্থাৎ যে অঙ্কে ১০০ পেয়েছে, দ্বাদশের অঙ্কের নম্বরে তার থেকে ৩০ যুক্ত হবে। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, ৮০ নম্বরে থিয়োরি পরীক্ষা হয়, বাকি ২০ নম্বর প্র্যাকটিক্যালের। আবার অনেক বিষয়ে ৭০ নম্বরের থিয়োরি হয়, ৩০ নম্বর প্র্যাকটিক্যালের। তাই ৮০ বা ৭০ নম্বরের ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ বা ৪০ শতাংশের হিসেব হবে। এরপর আসবে দ্বাদশ শ্রেণি। এ ক্ষেত্রে ইন্টারনাল পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের ৪০ শতাংশ যুক্ত করা হবে মূল রেজাল্টে। প্রায় সব স্কুলে প্র্যাকটিক্যাল ও ইন্টারনাল পরীক্ষা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই নম্বর ভাগে কোনও অসুবিধা নেই। আর যে সব স্কুলে পরীক্ষা বাকি আছে, সেখানে অনলাইনে পরীক্ষাগুলি নিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

দশ শ্রেণিতে ইতিমধ্যেই মিড টার্ম ও প্রিবোর্ড পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সেই পরীক্ষাগুলির মধ্যে কোনটির নম্বর নেওয়া হবে, তার ঠিক করবে বিশেষ রেজাল্ট কমিটি। সেই কমিটিতে থাকবে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল, দু’জন অভিজ্ঞ শিক্ষক বা শিক্ষিকা ও প্রতিবেশী কোনও স্কুলের দুই শিক্ষক বা শিক্ষিকা। কোনও স্কুলের কমিটি ঠিক করতে পারে যে তারা প্রি-বোর্ড পরীক্ষা থেকেই ৪০ শতাংশ নম্বর নেবে আবার কোনও স্কুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে প্রি-বোর্ড ও মিড টার্ম দুটি পরীক্ষাতেই গুরুত্ব দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: বিহারে নয়া ‘মহাভারত’, বাবার জন্যই ‘কুরুক্ষেত্রে’ নামবেন চিরাগ