UK- India: অবশেষে গলল বরফ! কোনও বিধি নিষেধ ছাড়াই ব্রিটেন থেকে ভারতে আসতে পারবেন যাত্রীরা
Covid Restrictions: কয়েক দিন আগেই ব্রিটেন জানিয়ে দেয়, ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এবার থেকে আর কোনও কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন হবে না।
নয়া দিল্লি: ভারতীয় ভ্যাকসিনে (Covid Vaccine) আপত্তি জানিয়েছিল ব্রিটেন (Britain)। আর তার থেকেই সূত্রপাত দুই দেশের কূটনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি। ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ় নিয়ে যাওয়ার পরও ভারতীয় যাত্রীদের ওপর যখন বিধি নিষেধ জারি করেছিল ব্রিটেন, তখন পাল্টা তোপ দাগতেও ছাড়েনি ভারত (India)। ব্রিটেন থেকে আসা যাত্রীদের ওপর একগুচ্ছ বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt)। এরপরই সুর নরম হয় ব্রিটেনের। অবশেষে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলেছে। শেষ হয়েছে চাপানউতোর। তাই এবার ব্রিটেন থেকে আসা যাত্রীদের জন্য জারি হওয়া বিধি নিষেধ তুলে নিল কেন্দ্র।
কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে, ব্রিটেন থেকে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ় নিয়ে এলেও বাধ্যতামূলকভাবে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। সেই সঙ্গে ভারতে আসার পর থাকতে হবে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে। ভারতের মাটিতে ফের একবার করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। তবেই মিলবে ছাড়পত্র। এবার সে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানানো হল কেন্দ্রের তরফে। এই ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।
কয়েক দিন ধরে যে চাপানউতোর চলছিল তাতে ভারত শেষ অস্ত্র হিসেবে ঘোষণা করে, ব্রিটেন থেকে ভারতে এলে বাধ্যতামূলকভাবে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে ভাকতে হবে। এরপরই ব্রিটেনের তরফে ঘোষণা করা হয়, কোভিশিল্ড বা ব্রিটেনের অনুমোদন পাওয়া যে কোনও ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ় নেওয়া থাকলে ব্রিটেনে গিয়ে আর কোয়ারেন্টাইনে থাকার প্রয়োজন নেই।
ব্রিটেন কোভিশিল্ড প্রাপক ভারতীয় নাগরিকদের সে দেশে প্রবেশ নিয়ে জটিলতা তৈরি করেছিল। আর তাতেই কড়া পদক্ষেপ নেয় দিল্লি। পাল্টা ভারতে প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রেও ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য কড়া বিধি জারি করেছিল ভারত। এরপরই ব্রিটেনে যাওয়া ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এবার থেকে আর কোনও কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়ে দেয় ব্রিটেন। ১১ অক্টোবর থেকেই নয়া এই নির্দেশিকা অনুয়াযী কোভিশিল্ড কিংবা ব্রিটেনের অনুমোদন প্রাপ্ত যে ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ ডোজ় নেওয়া থাকলেই সে দেশে প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। গত কয়েকমাস ধরে ভারত যে ভাবে সহযোগিতা করেছে সে জন্যে ধন্যবাদও জানানো হয়।
এরই মধ্যে গত ১১ অক্টোবর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টিকার শংসাপত্রকে কেন্দ্র করে জটিলতা ঘোচাতে ব্রিটেনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান নমো। ব্রিটেনের তরফে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে দুই প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াই নিয়ে কথা বলেছেন এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ চালু করার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে এবার কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকায় দুই দেশের সম্পর্কের জটিলতা কমল।
আরও পড়ুন: Nitin Gadkari: আমজনতার মতোই বিমানে ওঠার লাইন দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কুর্নিশ জানাল নেটপাড়া