Anurag Thakur: ‘সিসোদিয়া অভিযুক্ত, মূলমাথা কেজরীবাল’, আবগারি নীতি নিয়ে আপকে পাল্টা আক্রমণ বিজেপির
Anurag Thakur: এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে মণীশ সিসোদিয়া বলেন, "নয়া আবগারি নীতি নিয়ে কোনও সমস্যা নয়।
নয়া দিল্লি: শুক্রবারই বিতর্কিত আবগারি নীতি নিয়ে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। অভিযোগ ছিল, দিল্লির নয়া আবগারি নীতিতে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে। শুক্রবারের সিবিআই অভিযানের পর শনিবার মুখ খুলে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এবার তাঁকে পাল্টা জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার ও ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, নতুন আবগারি মামলায় মণীশ সিসোদিয়া অভিযুক্ত হলেও মূল পাণ্ডা অরবিন্দ কেজরীবাল। অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “আবগারি দুর্নীতিতে মণীশ সিসোদিয়া অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত হলেও দুর্নীতির মূল মাথা অরবিন্দ কেজরীবাল। আজকের সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর মুখ দেখেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর তাঁর মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছে।”
এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে মণীশ সিসোদিয়া বলেন, “নয়া আবগারি নীতি নিয়ে কোনও সমস্যা নয়। কেজরীবালের নেতৃত্বে দিল্লি সরকারে করা কাজ মার্কিন মুলুকের নামজাদা সংবাদপত্র প্রকাশিত হচ্ছে। কেউ ভাল কাজ করলে মোদীজির পছন্দ হয় না, সেই কারণে ইডি সিবিআই দিয়ে হেনস্থার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আমি আপনাদের বলতে পারি, যেভাবে দেশের মানুষ কেজরীবালকে ভালবাসতে শুরু করেছেন এবং পঞ্জাব নির্বাচন জয়ের পর ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে মোদীর বিরুদ্ধে প্রধান মুখ কেজরীবালই হবে।” ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে মোদী বনাম কেজরীবাল লড়াইয়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘আগেও আম আদমি পার্টি লম্বা চওড়া ভাষণ দিয়েছিল, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে তারা দাঁড়াতে পারেনি।’
উল্লেখ্য, কেজরীবাল সরকারের নয়া আবগারি নীতি নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল, শেষমেশ এই নীতি প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছিল দিল্লি সরকার। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর সরকারের এই আবগারি নীতি নিয়ে আর্থিক দুনীতির অভিযোগ তুলে সরাসরি উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আবগারি দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মণীশ সিসোদিয়ার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। তবে শনিবার আবগারি নীতি প্রসঙ্গে মণীশ বলেন, “এটা দেশের সব রাজ্যের মধ্যে সেরা আবাগারি নীতি ছিল। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ষড়যন্ত্রেই এই নীতি তুলে নেওয়া হয়েছে। এই নীতি বাস্তবায়ন হলে সরকারের বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হত।”