কীভাবে অফিসে বসেই যোগাসন করতে পারবেন কর্মীরা, তার জন্য কেন্দ্রের তরফে একটি প্রোটোকলও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এর ইউটিউব লিঙ্কগুলি হল-
https://youtu.be/1qQQ3yUjnyM
এছাড়া আয়ুষ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে গিয়েও এই সংক্রান্ত তথ্য় জানতে পারেন।
নয়া দিল্লি: অফিসে আট ঘণ্টার ডিউটি, গোটা সময়টাই কাটছে চেয়ারে বসে। এক জায়গাতেই একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার কারণে কম-বেশি প্রায় সমস্ত কর্মীরই ঘাড়ে-কোমরে ব্যাথা। মনের কোণেও বাসা বাঁধছে অবসাদের মেঘ। কর্মীদের এই সমস্যার কথা বুঝেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কারণেই এবার সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসে ‘ওয়াই-ব্রেক’ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হল। অফিসের চাপ কমাতে, মনকে তরতাজা করতে এবং কাজের জন্য নতুন করে শক্তি জোগাতে চালু করা হয়েছে ‘যোগা অ্যাট অফিস চেয়ার’। সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও দফতরগুলিতে যোগাসনের এই নিয়ম চালু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালেই কেন্দ্রের তরফে এই নিয়ম চালু করা হলেও, সম্প্রতিই আয়ুষ মন্ত্রকের তরফে এই কর্মক্ষেত্রে এই নিয়ম চালু করার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আয়ুষ মন্ত্রকের অধীনে মোরারজি দেশাই ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব যোগের তরফে জানানো হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে চাপ কমাতে ও কাজে মনোনিবেশ করতে ওয়াই-ব্রেক চালু করা হয়েছে। এর দারুণ প্রতিক্রিয়াও পাওয়া গিয়েছে। যারা কাজের চাপে ব্যস্ত জীবনে শরীর চর্চার জন্য সময় পান না, তাদের জন্যই অফিসের চেয়ারে বসে যোগাসন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “ওয়াই ব্রেকের সাহায্য় কাজের ব্যস্ততার মাঝেই কর্মীরা চেয়ারে বসে যোগাসন করতে পারবেন”। ‘যোগ অ্যাট চেয়ারে’র জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত মন্ত্রক ও দফতরের ছোট-বড় সমস্ত কর্মীদের এই নিয়ম অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
কাজের ফাঁকে কয়েক মিনিটের অবসর নিয়ে কর্মীরা বিভিন্ন আসন, প্রাণায়াম ও ধ্যান করতে পারবেন বলেই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশিকায়। বিভিন্ন অভিজ্ঞ ব্য়ক্তিদের পরামর্শ নিয়ে এবং পরীক্ষা করা প্রোটোকলের অধীনেই ‘যোগা অ্যাট চেয়ার’-র বিভিন্ন ভিডিয়োও বানানো হয়েছে।