২১ জুন থেকে কার্যকর হবে ভ্যাকসিন নিয়ে নতুন নির্দেশিকা, কী কী থাকছে গাইডলাইনে
গত কাল, মঙ্গলবার রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ২১ জুন থেকে দেওয়া হবে সেই ভ্যাকসিন (Vaccine)।
নয়া দিল্লি: সোমবারই দেশের ভ্যাকসিন নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তারপরই কেন্দ্রের তরফ থেকে প্রকাশ করা হল টিকাকরণ সংক্রান্ত নতুন গাইডলাইন। আগামী ২১ জুন থেকে সেই নতুন নীতি কার্যকর হবে। রাজ্যগুলিকে জনসংখ্যার নিরিখে ভাগ করা হবে। এ ছাড়া, কোন রাজ্যে করোনা সংক্রমণের প্রাবল্য কত, টিকাকরণ কত দূর এগিয়েছে, এ সব দেখা হবে। কোনোভাবেই যাতে ভ্যাকসিন নষ্ট না হয় সে দিকেও নজর দেবে কেন্দ্র।
কী কী বলা হয়েছে নয়া নির্দেশিকায়:
১. বিনামূল্যে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ভ্যাকসিন দেবে কেন্দ্র। আর সেই ভ্যাকসিন রাজ্য সরকার সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বাসিন্দাদের বিনামূল্যে দেবে। সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রগুলি থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
২. কাদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে? – স্বাস্থ্যকর্মী – প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা -৪৫ বছরের বেশি বয়সী – যাদের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ বাকি আছে -১৮ বছরের বেশি বয়সী
৩. ভ্যাকসিন কাদের আগে দেওয়া হবে, তা রাজ্য সরকার নির্ধারণ করতে পারবে।
৪. রাজ্যগুলিকে জনসংখ্যার নিরিখে ভাগ করা হবে। কোন রাজ্যে করোনা সংক্রমণ কত, টিকাকরণ কত দূর এগিয়েছে, এ সব দেখা হবে। ভ্যাকসিন নষ্ট না হয়, সেই বিষয়ে থাকবে নজর।
৫. ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি মাসের তাদের মোট উৎপাদনের ২৫ শতাংশ সরাসরি বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে বিক্রি করতে পারবে। ন্যাশনাল হেলথ অথরিটির প্লাটফর্মের মাধ্যমে সে ক্ষেত্রে পেমেন্ট করতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকার বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে যাতে ভ্যাকসিন পৌঁছে যায়, সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
৬. ভ্যাকসিনের দাম নির্ধারণ করতে পারবে উৎপাদক সংস্থাগুলি। বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছ থেকে ডোজ পিছু সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া যাবে। রাজ্য সরকার ভ্যাকসিনের দামের বিষয়টায় নজর রাখতে পারবে।
আরও পড়ুন: ‘আমরা পাঁচ মিনিট বন্ধ করে দিলাম অক্সিজেন, দেখলাম কে মরে আর কে বাঁচে’
৭. রোজগার যতই হোক না কেন, প্রত্যেক নাগরিক বিনামূল্যে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। তবে, যাঁদের টাকা দিয়ে টিকা নেওয়ার ক্ষমতা আছে, তাঁদের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টিকা নিতে বলা হচ্ছে।
৮. সব সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে অনসাইট রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা থাকবে যাতে বাসিন্দাদের কোনও অসুবিধা না হয়।
৯. রাজ্যগুলিতে সার্ভিস সেন্টার ও কল সেন্টার থাকবে, যেখান থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য অগ্রিম বুকিং করা যাবে।