Govt on Bangladesh Crisis: ‘হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের প্রাণরক্ষা বাংলাদেশের দায়িত্ব’, ইউনূস সরকারকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের
Bangladesh Unrest: চলতি বছরের অগস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার বেড়েছে। নির্মমভাবে হত্যা, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতিই সাধু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়েছে।
নয়া দিল্লি: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে যে নৃশংস অত্যাচার চলছে, তা নিয়ে চিন্তায় ভারত সরকার। এবার সংসদেও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হল। একইসঙ্গে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার অনুরোধও জানানো হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে।
চলতি বছরের অগস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার বেড়েছে। নির্মমভাবে হত্যা, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতিই সাধু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়েছে। ফের আক্রমণের মুখে হিন্দুরা। এই ঘটনা নিয়েই সংসদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন শাসক ও বিরোধী দলের সাংসদরা। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং বলেন, “ঢাকার তাঁতিবাজাপে পুজো মণ্ডপে হামলা, দুর্গাপুজোর সময় যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে চুরি- ভারত সরকার এই সমস্ত বিষয় নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।”
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন যে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব বাংলাদেশের হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করা। সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্থানে সুরক্ষা দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকালই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আজ, শুক্রবার তিনি সংসদের উভয় কক্ষে বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্য রাখতে পারেন।