ট্রেনে দেওয়া কম্বল গায়ে তো দিচ্ছেন, আদৌ তা ধোয়া হয়? জানুন সত্যিটা
Indian Railways: ভারতীয় রেলওয়ের তরফে এসি কোচগুলিতে সারা বছরই চাদর-কম্বল-বালিশ দেওয়া হয়। তবে অনেক যাত্রীদের মনেই প্রশ্ন থাকে যে এই চাদর-কম্বল নিয়মিত কাচা হয় তো? নাকি এক যাত্রীর ব্যবহার করা চাদরই অন্য যাত্রীকে দেওয়া হয়!
নয়া দিল্লি: শীতকালে ট্রেনে যাতায়াতে আর কিছু লাগুক না লাগুক, প্রয়োজন অন্তত একটা কম্বলের। সোয়েটার-জ্যাকেট পরে তো আর ঘুমানো যায় না। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাও একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক। ভারতীয় রেলওয়ের তরফে এসি কোচগুলিতে সারা বছরই চাদর-কম্বল-বালিশ দেওয়া হয়। তবে অনেক যাত্রীদের মনেই প্রশ্ন থাকে যে এই চাদর-কম্বল নিয়মিত কাচা হয় তো? নাকি এক যাত্রীর ব্যবহার করা চাদরই অন্য যাত্রীকে দেওয়া হয়! এই প্রশ্নের জবাব এবার দিলেন খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
চলতি সপ্তাহেই লোকসভায় এই প্রশ্নের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কংগ্রেস সাংসদ কুলদীপ ইন্দোরার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যাত্রীদের যে উলের কম্বল দেওয়া হয়, তা মাসে একবার ধোয়া হয়। সঙ্গে যে বেড রোল দেওয়া হয়, তাতেও বেসিক হাইজিন স্ট্যান্ডার্ড বা পরিচ্ছন্নতার মাপকাঠি বজায় রাখা হয়।”
রেলমন্ত্রী জানান যে বেড রোলে অতিরিক্ত যে বেডশিটটি দেওয়া থাকে, তা কম্বলের কভার হিসাবে ব্যবহার করা যায়।যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে ভাল গুণমানের চাদর কেনা হয়েছে বলেও তিনি জানান। নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড মেশিনে, নির্দিষ্ট কেমিক্যাল ব্যবহার করেই চাদর-কম্বল কাচা হয়। ওয়াইটো-মিটার নামক এক মেশিন ব্যবহার করা হয় কাচা চাদরের মান পরীক্ষা করার জন্য।
যদি যাত্রীদের ট্রেনে দেওয়া চাদর বা বেডরোল নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকে বা ট্রেনে অন্য কোনও পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ থাকে, তবে রেলমদদ পোর্টালে গিয়ে অভিযোগ জানানো যায়। রেলমন্ত্রী জানান, জ়োনাল হেডকোয়ার্টার ও ডিভিশনাল লেভেলে ওয়ার রুম তৈরি করা হয়েছে, যাত্রীদের অভিযোগ গ্রহণ এবং তার ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য়।