রাহুলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়নি ফেসবুক? জানতে সংস্থার প্রধানকে তলব শিশু সুরক্ষা কমিশনের

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে ১৭ অগস্ট, মঙ্গলবার ফেসবুকের প্রধান (ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি) সত্য যাদবকে বিকেল পাঁচটায় দিল্লির জনপথে শিশু সুরক্ষা কমিশনের অফিসে বা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য নিয়ে হাজির থাকতে হবে।

রাহুলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়নি ফেসবুক? জানতে সংস্থার প্রধানকে তলব শিশু সুরক্ষা কমিশনের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 14, 2021 | 1:38 PM

নয়া দিল্লি: দিল্লি নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে ছবি পোস্ট করাকে ঘিরে বিতর্কে শীর্ষে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। আর রাহুলের ‘ভুলে’র জেরে সমস্যায় পড়েছে টুইটার(Twitter), ফেসবুক(Facebook)-র মতো সোশ্যাল মাধ্যমগুলি। নোটিসের জবাব না দেওয়ায় এ বার ফেসবুকের বিরুদ্ধে সমন জারি করল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (National Commission for Protection of Child Rights)।

কেবল টুইটারেই নয়, ইন্সটাগ্রাম(Instagram)-এও দিল্লিতে ধর্ষিত ও খুন হওয়া নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এর প্রেক্ষিতেই জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে টুইটার ও ইন্সটাগ্রামের মালিক ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। জানতে চাওয়া হয়েছিল, ভারতীয় পকসো আইন ভেঙে রাহুল গান্ধী যে ধর্ষিতার পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করেছেন, তার প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

গত ৪ অগস্ট শিশু সুরক্ষা কমিশনের চিঠি পেয়েই টুইটারের তরফে রাহুল গান্ধীর অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ছবিটি মুছে ফেলা হয় ও পরদিনই রাহুল গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্টটিও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। উল্টোদিকে, ফেসবুকের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা তো দূরের কথা, কমিশনের চিঠির জবাবও দেওয়া হয়নি। এর পরেই কমিশনের তরফে ফের একটি চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, “রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বা জবাব দেওয়ার কোনও রিপোর্ট আসেনি।”

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে ১৭ অগস্ট, মঙ্গলবার ফেসবুকের প্রধান (ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি) সত্য যাদবকে বিকেল পাঁচটায় দিল্লির জনপথে শিশু সুরক্ষা কমিশনের অফিসে বা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য নিয়ে হাজির থাকতে হবে। সূত্র মতে সশরীরে নয়, ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমেই হাজিরা দিতে পারেন ফেসবুক প্রধান ও আধিকারিকরা।

গতকালই ইউটিউবে টুইটারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, “যখন দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন, বিপদের মুখে, সেই সময় টুইটারও পক্ষপাতদুষ্ট প্ল্যাটফর্ম হিসাবে প্রমাণিত হচ্ছে। তারা কেবল সরকার যা বলছে, তাই-ই শুনছে। আমাদের সংসদে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না, সংবাদ মাধ্যমকেও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। একমাত্র আশার আলো ছিল টুইটার, যেখানে আমরা নিজেদের মতামত রাখতে পারতাম। কিন্তু টুইটারও পক্ষপাতদুষ্টই প্রমাণিত হল।”

যদিও টুইটারের তরফে রাহুল গান্ধীর অ্যাকাউন্ট ব্লক করার কারণ হিসাবে বলা হয়েছিল, দেশের আইন ও টুইটারের নিয়ম ভঙ্গ করার জেরেই তাঁর অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে এক সপ্তাহ পর এ দিন সকালেই খুলে দেওয়া হয়েছে রাহুল গান্ধীর টুইটার। আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভুলগুলি করা যাবে না! আসন্ন ঢেউয়ের প্রস্তুতিতে রাজ্যগুলিকে অর্থ সাহায্য কেন্দ্রের