আর লাগবে না সম্মতিপত্র, ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মোড’ শেষ কোভ্যাক্সিনের
নীতি আয়োগের সদস্য তথা করোনা টিকা বিতরণ দলের প্রধান ডঃ ভিকে পালও জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সিন (Covaxin) থেকে 'ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মোড' উঠে যাওয়ায় কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে এখন একই নিয়ম বজায় থাকবে।
নয়া দিল্লি: ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মোড’ শেষ হল কোভ্যাক্সিনের (Covaxin)। যার ফলে আর কোভ্যাক্সিন নেওয়ার আগে সম্মতিপত্রে সই করতে হবে না টিকা প্রাপকদের। বুধবার করোনা টিকা বিশেষজ্ঞ দল ডিসিজিআইকে সুপারিশ করেছিল কোভ্যাক্সিন থেকে ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মোড’ তুলে নেওয়ার জন্য। সেই মতোই কোভ্যাক্সিন থেকে ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মোড’ তুলে নিলেন ডিজিসিআই। ট্রায়াল মোড তুলে নেওয়ার পর ভারত বায়োটেককে সেই সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ডিজিসিআই।
চিঠিতে লেখা রয়েছে, “করোনা বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের পর এ বার থেকে কোভ্যাক্সিন আপদকালীন অনুমোদনে ব্যবহৃত হবে। তবে এর ফলে কোনও প্রভাব পড়বে না কোভ্যাক্সিনের ফেজ-৩ ট্রায়ালে। এ কথাও জানিয়েছেন ডিজিসিআই। মার্চ মাসের ৪ তারিখ ভারত বায়োটেক জানিয়েছিল, তাদের করোনা প্রতিষেধক ৮১ শতাংশ কার্যকরী। সংস্থা এ-ও জানিয়েছিল কোভ্যাক্সিন ব্রিটেন স্ট্রেনের ওপরও কার্যকরী।
নীতি আয়োগের সদস্য তথা করোনা টিকা বিতরণ দলের প্রধান ডঃ ভিকে পালও জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সিন থেকে ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মোড’ উঠে যাওয়ায় কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে এখন একই নিয়ম বজায় থাকবে। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই কোভ্য়াক্সিনের ট্রায়াল সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ল্যান্সেট জার্নালে।
যেখানে ল্যান্সেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। ল্যান্সেট সাফ জানিয়েছে, এই করোনা প্রতিষেধকের কোনও গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। মেরিল্যান্ড আপার চেসাপাকে হেলথের সংক্রামক রোগের প্রধান ফাহিম ইউনিস টুইট করে লিখেছেন, “সুখবর, কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালের রেজাল্ট ল্যান্সেট প্রকাশ হয়েছে।” তবে ল্যান্সেটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এখনই কোভ্য়াক্সিনের কার্যকরিতা সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয়। কারণ ফেজ-৩ ট্রায়াল হওয়ার আগে ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা সম্পর্কে কিছু বলা যায় না।
আরও পড়ুন: দেশে করোনার কামব্যাক! ফিরতে পারে লকডাউন, চিন্তায় কেন্দ্র