চলতি মাসেই কেরলে প্রথম জিকা আক্রান্তের খোঁজ মেলে। ২৪ বছর বয়সী এক গর্ভবতী মহিলার শরীরে এই ভাইরাসের হদিস মেলে। এরপরই কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩-এ। এরমধ্যে প্রত্যেকেই তিরুবনন্তপুরমের বাসিন্দা।
বুধবার কেরলের নয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ একটি রিভিউ বৈঠকের ডাক দেন। সেখানেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, তিরুবনন্তপুরমের আনায়রা থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরেই জিকা ভাইরাসের গোষ্ঠী বা ক্লাস্টারের খোঁজ মিলেছে। তবে সংক্রমণ রোধে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ করছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, মশার বিস্তার রুখতে গোটা এলাকায় মশার গ্যাস প্রয়োগ করতে বলা হয়েছে নিয়মিত। এছাড়া তিরুবনন্তপুরম জেলার মেডিক্যাল অফিসে একটি কন্ট্রোল রুমও তৈরি করা হয়েছে সাহায্য করার জন্য।
সাধারণ মানুষের মধ্যে জিকা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা ও সতর্কতা বাড়াতে বিশেষ প্রচার চালানো হচ্ছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। জ্বর বা রোগার অন্য় কোনও উপসর্গ দেখা দিলে সাধারণ মানুষ যাতে আতঙ্কিত না হয়ে পড়েন, সেই বিষয়েও সচেতন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিরুবনন্তপুরমের বাকি এলাকাগুলিতেও কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে।