সুপ্রিম কোর্টে মমতা, নারদ মামলায় হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন
হলফনামা জমা দিতে দেরি হওয়ায় তা নিতে অস্বীকার করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল
নয়া দিল্লি: নারদ মামলা নিয়ে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হলফনামা জমা দিতে দেরি হওয়ায় তা নিতে অস্বীকার করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের হলফনামা নিতেও অস্বীকার করে কলকাতা হাইকোর্ট। যার অর্থ, তাঁদের মতামত না শুনেই রায় ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছিল আদালত। সেই হলমনাফা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নারদকাণ্ডে ৪ অভিযুক্তকে সিবিআই গ্রেফতার করার পর মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে নিজাম প্যালেসে প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে ধরনা দিয়েছিলেন তার ব্যাখ্যা চেয়েছিল হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই দিনই নিম্ন আদালতে ৪ অভিযুক্তের শুনানি সময় আইনমন্ত্রী যেভাবে আদালত চত্বরে সারাক্ষণ উপস্থিত ছিলেন, সেটাও খুব একটা ভাল চোখে দেখেনি কলকাতা হাইকোর্ট।
এই দুই ঘটনার প্রেক্ষিতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর অবস্থান জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দিতে বলে আদালত। কিন্তু, হলফনামা জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর তা জমা পড়ে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সেই হলফনামা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। গত ১৫ জুন মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী হলফনামা জমা দিলে আদালত জানায়, সময় মতো না দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী কারও হলফনামা নেবে না হাইকোর্ট। হলফনামা না নেওয়ার অর্থ হল তাঁদের উত্তর না শুনেই রায় দেবে আদালত। হলফনামা রেকর্ডেও রাখবে না কোর্ট। হলফনামা জমা না নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই সোমবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মমতা।
আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীর হলফনামা নেব না’, সাফ জানালেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি
সূত্রের খবর, আগামিকাল, অর্থাৎ মঙ্গলবারই মামলাটি শুনবে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ। এর আগে একই ভাবে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এ বার একই মামলা দায়ের করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।