Chhattisgarh: বালকের কামড়ে কেউটের মৃত্যু! এ কী ঘটল ‘নাগলোকে’
8-year-old Chhattisgarh boy bites a Cobra: মানুষের কামড়েও কি সাপের মৃত্যু হয়? ছত্তীসগঢ়ের এক গ্রামে ঘটেছে চমকপ্রদ ঘটনা।
রায়পুর: সাপের কামড়ে বিষক্রিয়ায় মানুষের মৃত্যু কোনও নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু, ছত্তীসগঢ়ের এক গ্রামে ঘটেছে সম্পূর্ণ উল্টো। এক ৮ বছর বয়সী বালকের কামড়ে একটি কেউটে সাপের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আচমকা ওই বালকের হাত পেঁচিয়ে ধরেছিল সাপটি। তাকে হাত থেকে ছাড়ানোর জন্যই সাপটিকে পাল্টা দুইবার কামড় দিয়েছিল বালকটি। আর তাতেই কেউটে সাপটির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছেন গ্রামবাসীরা।
চমকপ্রদ এই ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (৩১ অক্টোবর), ছত্তীসগঢ়ের যশপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম পান্ডারপাধে। জায়গাটি ছত্তীসগঢ়ের রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই বালকের নাম দীপক। সোমবার বিকেলে সে বাড়ির উঠোনে খেলছিল। সেই সময়ই সাপটি দীপকের হাত পেঁচিয়ে ধরে কামড় দিয়েছিল। ব্যথায় হাত ঝাড়া দিয়েছিল সে। কিন্তু, তাতেও সাপটির বন্ধনমুক্ত না হওয়ায়, নিজেকে বাঁচাতে বিষাক্ত সাপটির গায়ে মরণ কামড় বসিয়েছিল দীপক।
সে বলেছে, “সাপটি আমার হাতের চারপাশে জড়িয়ে ধরে আমাকে কামড় দিয়েছিল। আমার প্রচণ্ড ব্যথা করে উঠেছিল। কিন্তু, কোনওভাবেই সাপটিকে হাত থেকে না ছাড়াতে পেরে আমি তাকে দুবার জোরে কামড়ে দিয়েছি। সবকিছু ঘটেছিল অত্যন্ত দ্রুত।”
এই ঘটনার পর, দীপকের আত্মীয়রা তাকে দ্রুত নিকটবর্তী এক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। ব্লক মেডিকেল অফিসার ডা. জেমস মিঞ্জ বলেছেন, “ওকে দ্রুত অ্যান্টি-স্নেক ভেনম দেওয়া হয়েছিল। তারপর একদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। দীপকের শরীরে কোনও উপসর্গ না দেখা দেওয়ায় তাকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে কামড়টা শুকনো কামড় ছিল বলেই ও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছে। যখন কোনও বিষাক্ত সাপ কামড় দেয়, কিন্তু কোনও বিষ বের হয় না, তাকে শুকনো কামড় বলে। এই ধরনের সাপের কামড় অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তবে শুধু যে জায়গার কামড়ায়, তার আশেপাশেই উপসর্গ দেখা যায়।”
স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। বস্তুত, যশপুর জেলায় এমন কোনও ঘটনা এর আগে কেউ দেখেননি বা শোনেননি। ছত্তীসগঢ়ের এই জেলাটি মূলত উপজাতি অধ্যূষিত। সাপের বাহুল্যের জন্য এই জেলা ‘নাগলোক’ নামেও পরিচিত। সর্প বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র এই একটি জেলাতেই ২০০টিরও বেশি প্রজাতির সাপ রয়েছে।