ফের প্রকাশ্যে কংগ্রেসের অন্তর্কলহ, না পোষালে অন্য দলে যাওয়ার পরামর্শ অধীরের
কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল বলেন, "কংগ্রেস যে ক্রমশ পতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনার সময় শেষ হয়ে গিয়েছে এবং দলকে এইবার সাহসী হয়ে সেই কথা মেনে নিতে হবে।" এই বিতর্কিত মন্তব্যের পরই মুখ খুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
TV9 বাংলা ডিজিটাল: ফের একবার সামনে চলে এল কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্কলহ। কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)-র বিতর্কিত মন্তব্যের পরই মুখ খুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Choudhury), বললেন, “যাঁরা দলের সমালোচনা করছে, তাঁরা অন্য দলে বা নিজের নতুন দল শুরু করতে পারেন।”
রাজস্থানে অশোক গেহলট-সচিন পাইলটের দ্বন্দ্বেই দলের ভিতরের কাজিয়া সকলের সামনে চলে এসেছিল। বহু কষ্টে সেই সময় দলে ভাঙন আটকানো গেলেও ফের দুই শীর্ষ নেতৃত্বের মন কষাকষি শুরু হল। একদিকে প্রবীণ নেতা কপিল সিব্বল, অন্যদিকে লোকসভায় কংগ্রেসের মুখ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। দলের হাল নিয়ে সিব্বলের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনও রাখঢাক না রেখেই অন্য দল খোঁজার পরামর্শ দিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
সোমবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল বলেন, “কংগ্রেস যে ক্রমশ পতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনার সময় শেষ হয়ে গিয়েছে এবং দলকে এইবার সাহসী হয়ে সেই কথা মেনে নিতে হবে।” তিনি আরও জানান, দলে নিজের মতামত প্রকাশ করার সুযোগ না পাওয়ায় তিনি বাধ্য হয়ে জনসমক্ষে এই বিষয়টি তুলে ধরলেন।
বিহার নির্বাচনে (Bihar Election) কংগ্রেসের ফল নিয়েও তিনি বলেন, “বিহার নির্বাচন ও উপ-নির্বাচনে দলের ফলাফল নিয়ে এখনও দলের মধ্যে কোনও আলোচনা হয়নি। হয়ত তারা ভাবছেন যে সবই ঠিক আছে এবং একইভাবে সবকিছু চলবে।”
কপিল সিব্বলের এই মন্তব্যের পর আজ মুখ খুললেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন,”যদি কোনও নেতা মনে করেন যে কংগ্রেস তাদের জন্য সঠিক দল নয়, তবে তাঁরা নিজেদের ইচ্ছেমতো নতুন দল তৈরি করে বা অন্য কোনও দলে যোগ দিতে পারেন। তবে তাদের এইধরনের বিব্রতকর মন্তব্য করা উচিত নয়, কারণ তা কংগ্রেসের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করবে।”
আরও পড়ুন: ‘কে পিকে? ওর থেকে রাজনীতি শিখতে হবে’, বিদ্রোহ শুরু তৃণমূলের অন্দরে
কপিল সিব্বলের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠতার কথা উল্লেখ করে অধীরবাবু বলেন,”ওনার মতো প্রবীণ নেতাদের এইধরনের লজ্জাজনক মন্তব্য করা উচিত নয়। তাঁদের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তাঁরা চাইলেই দলের নেতৃত্ব বা দলের ফোরামে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারেন।”
বিহার নির্বাচনেও প্রবীণ নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন,”কংগ্রেসের ভাবমূর্তি পুনরায় গড়া নিয়ে যদি তাঁরা এতটাই চিন্তিত থাকতেন, তবে তাদের এই জেদ ময়দানে দেখানো উচিত। বিহার নির্বাচনের কাজে তারা কী সাহায্য করেছিল?”
যদিও এই বিষয়ে দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) বা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) মুখ খোলেননি, তবে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই মন্তব্যের পর কোন পথে হাঁটবেন কপিল সিব্বল, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে সকলে।