Anand Sharma: ‘কংগ্রেস কী দুটি নামেই সীমাবদ্ধ?’, গান্ধী পরিবারের বাইরেও ভাবার পরামর্শ আনন্দের

Anand Sharma: দলের শীর্ষ পদ শুধুমাত্র সনিয়া গান্ধী বা রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয় বলেই জানান বিক্ষুব্ধ আনন্দ শর্মা। এর সপক্ষে তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, "কংগ্রেস কী দুটি নামেই সীমাবদ্ধ? আমরা কী কংগ্রেসের ইতিহাস ভুলে যাচ্ছি না?" 

Anand Sharma: 'কংগ্রেস কী দুটি নামেই সীমাবদ্ধ?', গান্ধী পরিবারের বাইরেও ভাবার পরামর্শ আনন্দের
আনন্দ শর্মা। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2022 | 9:57 AM

নয়া দিল্লি: গান্ধী পরিবারের বাইরেও ভাবতে হবে কংগ্রেসকে, স্টিয়ারিং কমিটি থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই বিস্ফোরক মন্তব্য কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আনন্দ শর্মার। সম্প্রতিই জম্মু-কাশ্মীরের প্রচার কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রবীণ নেতা তথা জি-২৩-র অন্যতম মুখ গুলাম নবি আজাদ। রবিবার তাঁর দেখানো পথেই হাঁটেন জি-২৩-র অপর নেতা আনন্দ শর্মা। তিনিও হিমাচল প্রদেশের ‘পর্যবেক্ষক কমিটি’র প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রবিবার। ইস্তফার কারণ হিসাবে দলের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন তিনি। এবার কংগ্রেসের গান্ধী পরিবার নির্ভরশীলতা নিয়েও মুখ খুললেন তিনি।

রবিবারই এনডিটিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আনন্দ  শর্মা বলেন, “গান্ধী পরিবারের বাইরেও ভাবা উচিত কংগ্রেসের। বিশেষত, এখন যখন দলের জাতীয় সভাপতি হতে অস্বীকার করেছেন রাহুল গান্ধী, সেখানে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিকল্প মুখ ভাবা উচিত”। ১৯৭৮ সালে ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে হাতে গোনা কয়েকজন নেতার জন্যই টিকে ছিল কংগ্রেস, এমনটাই দাবি করেন তিনি। বিক্ষুব্ধ নেতা বলেন, “আমার মতো কয়েকজনই সেই সময় থেকে দলকে টিকিয়ে রেখেছে…এই দল আমাদের সবার।”

দলের শীর্ষ পদ শুধুমাত্র সনিয়া গান্ধী বা রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয় বলেই জানান বিক্ষুব্ধ আনন্দ শর্মা। এর সপক্ষে তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, “কংগ্রেস কী দুটি নামেই সীমাবদ্ধ? আমরা কী কংগ্রেসের ইতিহাস ভুলে যাচ্ছি না?”

ইস্তফা দেওয়া নিয়ে তিনি দুই বছর আগে সনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “যতক্ষণ ওই চিঠিটি রয়েছে, ততক্ষণ আমরা প্রাসঙ্গিক রয়েছি। আমরা বিক্ষুব্ধ নিয়ে আমরা সংস্কারের পক্ষে। কংগ্রেসের নীতি-সংবিধান অনুসরণ করে চলার কথা বলা কী অপরাধ? আমি কংগ্রেসের সদস্য ছিলাম এবং আজীবন কংগ্রেসের সদস্য ছিলাম। আমি নিজের আত্মসম্মান খোয়াতে পারব না। ইস্তফা দেওয়া ছাড়া আমার হাতে আর কোনও অপশন ছিল না।”