‘উপদেষ্টাকে সরান, নাহলে কংগ্রেস সরিয়ে দেবে’, সিধুকে বার্তা দলের

'কাশ্মীর একটা পৃথক দেশ। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই অবৈধভাবে দখল করেছে কাশ্মীর।' এমনটাই লিখেছিলেন সিধুর উপদেষ্টা।

'উপদেষ্টাকে সরান, নাহলে কংগ্রেস সরিয়ে দেবে', সিধুকে বার্তা দলের
সিধুর উপদেষ্টা মালি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2021 | 1:19 PM

নয়া দিল্লি: উপদেষ্টাকে এখনও সরিয়ে দেওয়া উচিৎ। যদি সিধু না পারেন, তাহলের দলের তরফে সরিয়ে দেওয়া হবে। পঞ্জাবের কংগ্রেস প্রধান নভজ্যোত সিং সিধুকে এমনটাই বললেন কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত। কিছুদিন আগেই এক বিতর্কিত পোস্টে সিধুর উপদেষ্টা মালবিন্দর মালি দাবি করেছিলেন ‘কাশ্মীর একটা পৃথক দেশ। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই অবৈধভাবে দখল করেছে কাশ্মীর।’ এরপরই বিতর্কের সূত্রপাত। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার জেরে আক্রমণ করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।

কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত বলেন, ‘এটা কোনও গোষ্ঠীর অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নয়। গোটা দলের অভিযোগ, গোটা রাজ্যের অভিযোগ।’ তিনি বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে দলের একটা অবস্থান রয়েছে। কাশ্মীর ভারতের অংশ।’ দলের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হলে হরিশ রাওয়াত বলেন, ‘এই উপদেষ্টাদের দল নিয়োগ করেনি। আমরা সিধুকে উপদেষ্টাদের সরানোর নির্দেশ দিয়েছি। যদি উনি না করেন, তাহলে আমি করব। আমরা দলের সদস্যদের অপদস্থ করতে চাই না।

ওই টুইটের পর এই ইস্যুতে আক্রমণ করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি বলেন, ‘যা নিয়ে জ্ঞান নেই, তা নিয়ে মুখ খোলারও দরকার নেই। রবিবার পঞ্জাবের কংগ্রেস প্রধান নভজ্যোত সিং সিধুর উপদেষ্টা মালবিন্দর সিং মালিকে এমনই পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। ‘দেশের সংবেদনশীল’ বিষয়ে সিধুকে কথা না বলারই পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সংবেদনশীল বিষয়গুলি নিয়ে এমন কোনও মন্তব্য করা ঠিক নয় যা ভাবাবেগকে আঘাত করে। যে সমস্ত বিষয়ে জ্ঞান কম কিংবা জ্ঞান নেই কিংবা তার অন্তর্নিহিত অর্থ সম্পর্কে কোনও বোধ নেই সে সমস্ত বিষয়ে মুখ না খোলাই ভাল।’ মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এ সংক্রান্ত একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশিত করা হয়েছে।

শিরোমনি অকালি দলের নেতা বিক্রম মাজিথিয়া বলেন, ‘এই টুইটে শহিদদের অসম্মান করা হয়েছে, যারা কাশ্মীরের মাটি রক্ষার জন্য লড়াই করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং যখন দাবি করেন যে পঞ্জাবের শান্তি নষ্ট করছে পাকিস্তান, তখন সিধু পাকিস্তানে গিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।’

এ দিকে, নির্বাচনের ঠিক আগেই ফের একবার সিধু বনাম ক্যাপ্টেনের দ্বৈরথ শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সিধু ঘনিষ্ট চার মন্ত্রী সহ মোট ২৩ জন বিধায়ক দাবি জানান, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হোক অমরিন্দর সিংকে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও যাতে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ প্রার্থী না করা হয়, সেই দাবিও জানান তারা। যদিও পঞ্জাব কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা হরিশ রাওয়াত জানিয়ে দেন যে আসন্ন নির্বাচনে দলের নেতৃত্ব দেবেন অমরিন্দর সিংই। আরও পড়ুন: কলোজিয়ামের সুপারিশেই কেন্দ্রের শিলমোহর, সুপ্রিম কোর্টে স্থান পেলেন আরও ৯ বিচারপতি