Rahul Gandhi: কথা বলার সময় সাবধান থাকতে হত! কেমব্রিজে দাঁড়িয়ে পেগাসাস নিয়ে সরব রাহুল গান্ধী
কেমব্রিজের জাজ বিসনেস স্কুলে ‘লার্নিং টু লিসেন ইন দ্য ২১ সেঞ্চুরি’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই এমবিএ ছাত্রদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই অভিযোগ তুলেছেন রাহুল।
কেমব্রিজ: ব্রিটেনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়ে গিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে তীব্র ভাষা আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ভেঙে ফেলার অভিযোগের পাশাপাশি এ দিন পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। পেগাসাস ব্যবহার করে তাঁর ফোনের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে বলেও এ দিন কেমব্রিজে দাবি করেছেন রাহুল। রাহুলের দাবি, গোয়েন্দারা তাঁকে ফোনে কথা বলার সময় ‘সাবধান’ থাকার জন্য জানিয়েছিলেন। কারণ তাঁর ফোন কল রেকর্ড করা হয়েছিল। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ ওয়ানাডের সাংসদের। কেমব্রিজের জাজ বিসনেস স্কুলে ‘লার্নিং টু লিসেন ইন দ্য ২১ সেঞ্চুরি’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই এমবিএ ছাত্রদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই অভিযোগ তুলেছেন রাহুল। তাঁর বক্তব্যের ভিডিয়ো নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করেছেন স্যাম পিত্রোদা। রাহুলের এই মন্তব্য নিয়ে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
কেমব্রিজের ওই অনুষ্ঠানে পেগাসাসের ব্যাপারে রাহুল গান্ধীকে বলেছেন, “আমার ফোনেই পেগাসাস ছিল। এক বড় অংশের রাজনীতিকদের ফোনে পেগাসাস ছিল। আমাকে এক গোয়েন্দা অফিসার ফোন করে বলেছিলেন, ‘যখন কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন, তখন সাবধানে থাকুন। তা রেরর্ড করার স্পাইওয়্যার রয়েছে ফোনে।’ এর জেরে সবসময় চাপের মধ্যে থাকতে হত। বিশেষত বিরোধী হিসাবে। কোন অবস্থাতেই ফৌজদারি দায়বদ্ধ মামলা হওয়া উচিত নয় এমন অনের ব্যাপারে অনেকগুলি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে৷ এই বিষয়টি আমরা আটকানোর চেষ্টা করছি।”
এর পাশাপাশি ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোর উপর আঘাত নেমে আসার বিষয়েও সরব হয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, “ভারতের গণতন্ত্র আক্রণমের মুখে। গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ রোধের চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা।” যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আলোচনা এবং কথোপকথন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করেন তিনি। কিন্তু এখন দেশে এর বড্ড অভাব বলে মত রাহুলের। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “আলোচনার দাবিতে বিরোধীরা সংসদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে তাঁদের জেলে ভরে দেওয়া হয়। ৩-৪ বার এই ঘটনা ঘটেছে।” এর পাশাপাশি সংখ্যালঘু এবং সংবাদমাধ্যমের উপর আক্রমণের ব্যাপারেও সরব হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর চার তৈরির চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
কেমব্রিজে রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেছেন, “মিথ্যা কথা বলা এবং ভারতের বদনাম করা রাহুল গান্ধীর অভ্যাস। এটাই কংগ্রেস দলের এজেন্ডা।”