Himachal Pradesh: হিমাচল প্রদেশকে ‘দুর্যোগ-বিধ্বস্ত’ ঘোষণা করুন, প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ কংগ্রেস
Himachal Pradesh: রাজ্যকে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ আবেদন জানালেন হিমাচলের প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান প্রতিভা বীরভদ্র সিং।
সিমলা: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh)। গত কয়েকদিনের মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসে ইতিমধ্যে এই রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও অনেকে আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে ভেসে গিয়েছে আস্ত সেতু, রাস্তা। বহু ঘর-বাড়ি, মন্দির ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যকে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ আবেদন জানালেন হিমাচলের প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান (Congress Chief) প্রতিভা বীরভদ্র সিং। হিমাচল প্রদেশকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে এটিকে দুর্যোগ-বিধ্বস্ত রাজ্য ঘোষণা করার আবেদন জানালেন তিনি।
কেবল সিমলাতেই মন্দির ভেঙে পড়ার ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সিমলার ডেপুটি কমিশনার আদিত্য নিয়োগী জানান, একাধিক উদ্ধারকারী দল একসঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। রাতে উদ্ধারকাজ শেষ করা হবে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ১২টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। আজ (বুধবার) সকালে আরও ৪টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF), রাজ্য পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। গোটা রাজ্যে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জানিয়েছেন, ভূমিধস ও টানা বৃষ্টিতে ৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও ২০ আটকে থাকতে পারেন। অন্যদিকে, ভূমিধসের জেরে ঘর-বাড়ির পাশাপাশি একাধিক রাস্তা, জাতীয় সড়ক, ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। এখনও যেভাবে বৃষ্টি চলছে, তার ফলে জীর্ণ বাড়িগুলি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। সবমিলিয়ে, সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হিমাচল প্রদেশ।
রাজ্য়ের এই দুর্যোগ-বিধ্বস্ত পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেই কেন্দ্রের কাছে বিশেষ সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি তথা হিমাচলের কংগ্রেস সাংসদ প্রতিভা বীরভদ্র সিং। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর উচিত, হিমাচল প্রদেশকে দুর্যোগ-বিধ্বস্ত রাজ্য ঘোষণা করা এবং পুনরুজ্জীবিত করে তোলার কাজ শুরু করা।” এব্যাপারে কেন্দ্রের সাহায্যের আবেদনও জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ। গত কয়েকদিনের দুর্যোগে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ।
সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে কেবল হিমাচল প্রদেশ নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পড়শি রাজ্য উত্তরাখণ্ড। সেখানেও ভূমিধসে ও নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় বহু ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়েছে, ভেসে গিয়েছে রাস্তাঘাট। জোশীমঠের কাছে তো খেলনার মতো ভেঙে পড়ে আস্ত বাড়ি। পরপর এই ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। চারধাম যাত্রা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত ঘটনায় যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বিগ্ন, তা স্বাধীনতা দিবসে তাঁর ভাষণেই স্পষ্ট। মঙ্গলবার লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশের একটি অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্যোগ-বিধ্বস্ত মানুষগুলির প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের পাশে থাকারও বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।