Congress President: সভাপতি পদে লড়বেন না, সনিয়ার কাছে ক্ষমা চাইলেন গেহলট

Ashok Gehlot not to contest in congress President poll: সনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পরই বদলে ফেললেন সিদ্ধান্ত। কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে লড়বেন না অশোক গেহলট।

Congress President: সভাপতি পদে লড়বেন না, সনিয়ার কাছে ক্ষমা চাইলেন গেহলট
অশোক গেহলট (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2022 | 6:24 PM

নয়া দিল্লি: সনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পরই বদলে ফেললেন সিদ্ধান্ত। কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে লড়বেন না অশোক গেহলট। এর আগে তাঁর প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার নিয়ে রাজস্থানে কংগ্রেস দলে তীব্র অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কংগ্রেস হাইকমান্ড। তারপরই বৃহস্পতিবার বিকেলে দলনেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। দলের অন্তর্বর্তীকালীন নেত্রীর কাছে রাজস্থানের ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশও করেন তিনি।

এদিন সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কোচিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচনে লড়তে অনুরোধ করেছি। তিনি রাজি না হওয়ায়, আমি বলেছিলাম আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। কিন্তু, এখন সেই ঘটনার (রাজস্থান রাজনৈতিক সংকট) প্রেক্ষিতে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর থাকাটাও কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল বলে জানিয়েছেন গেহলট। তিনি বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রিত্বের বিষয়ে হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবে। আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকব কি না তা ম্যাডামই জানাবেন। ইন্দিরাজির সময় থেকে আমি কংগ্রেসের একজন অনুগত সৈনিক। জয়পুরে যা ঘটেছে, তাতে আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি। দুই দিন আগে যা ঘটেছিল, তাতে আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হয়েছে, আমি মুখ্যমন্ত্রী হতে চাই বলেই এটা ঘটেছে। আমি সনিয়াজির কাছে ক্ষমা চেয়েছি।” গেহলটের পর কেসি বেনুগোপালও জানিয়েছেন, গেহলট আর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কি না, তা দু-এক দিনের মধ্যেই ঠিক করবেন সনিয়া গান্ধী।

কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ছাড়তে হবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তারপরই, তাঁর অনুপস্থিতিতে শচীন পাইলট মুখ্যমন্ত্রী হবেন আশঙ্কায় অঘোষিত বিদ্রোহের পথে হাঁটেন গেহলট অনুগামীরা। এই রাজনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলার চেষ্টায় গেহলট অনুগত তিন নেতাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কারণ দর্শানোর নোটিশও জারি করেছে। তারপরও দলের অভ্যন্তরীণ এই রাজনীতি থামানো যায়নি।

গেহলটের উত্তরসূরি বেছে নিতে কংগ্রেস জয়পুরে দলীয় বিধায়কদের একটি বৈঠক ডেকেছিল। কংগ্রেস নেতা অজয় ​​মাকেন এবং মল্লিকার্জুন খড়্গেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, তাঁদের অবজ্ঞা করে গেহলট অনুগতরা “সমান্তরাল বৈঠক” করেন। এই বিষয়ে মাকেন এবং খড়্গে, সনিয়া গান্ধীকে একটি লিখিত রিপোর্ট দেওয়ার পরই তাঁর সঙ্গে এদিন সাক্ষাত করেন অশোক গেহলট।