মুখে মাস্ক আর কতদিন? সম্ভাব্য সময় জানালেন ভি কে পল, তবে শর্ত একটাই

VK Paul : আগামী বছরটাও কি আমাদের মাস্ক পরেই কাটাতে হবে? জানিয়ে রাখলেন ভি কে পল।

মুখে মাস্ক আর কতদিন? সম্ভাব্য সময় জানালেন ভি কে পল, তবে শর্ত একটাই
কবে মুক্তি মিলবে করোনা থেকে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2021 | 11:46 AM

নয়াদিল্লি : এখনই মুখের থেকে মাস্ক নামানোর প্রশ্নই উঠছে না। এমনকী আগামী বছরেরও মাস্ককে বিদায় জানানো যাবে না। এমনটাই মনে করছেন নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল। তাঁর মতে, করোনার বিরুদ্ধে টিকাকরণের পাশাপাশি, পর্যাপ্ত ওষুধ এবং যথাযথ সামাজিক আচার-বিধি মেনে চলাটা ভীষণভাবে দরকার। এই তিনের সম্পূর্ণ মিশেল হলে, তবেই করোনা অতিমারি থেকে মুক্তি মিলবে বলে মনে করছেন তিনি।

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার কথাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না ভি কে পল। বিশেষ করে এমন একটা সময়ে, যখন একের পর এক উৎসব রয়েছে, তখন যে কোনও মুহূর্তে করোনা ফের ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। তবে তিনি আশাবাদী, করোনার বিরুদ্ধে যেমন ভ্যাকসিন এসে গিয়েছে, তেমনই ওষুধও চলে আসবে।

সোমবার এক সংবাদমাধ্যমে ভি কে পল জানিয়েছেন, “এখনই মাস্ক পরা বন্ধ করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। হয়ত আগামী বছরটাও আমাদের মাস্ক পরেই কাটাতে হবে। টিকাকরণের পাশাপাশি, পর্যাপ্ত ওষুধ এবং যথাযথ সামাজিক আচার-বিধি মেনে চললে, তবেই করোনাকে হারানো যাবে।”

তাঁর মতে, করোনা যাতে আবার নতুন করে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে, তার জন্য কার্যকর ওষুধ ভীষণভাবে দরকার। এদিকে ভারতে তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনও দ্রুত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে আশাবাদী তিনি। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষের দিকেই সবুজ সংকেত পেয়ে যেতে পারে কোভ্যাক্সিন।

সম্প্রতি, ভুবনেশ্বের একটি গবেষণার টিমের সদস্যদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তাদের মধ্যে ২৩ শতাংশের শরীরে কোনও আ্যান্টিবডি নেই। অর্থাৎ অ্যান্টিবডি রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এসেছে। এদের প্রত্যেকেরই ভ্যাকসিনের দুটি করে ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ভুবনেশ্বরের ‘ইনস্টিটিউট অব লাইফ সায়েন্সেস’-এর ডিরেক্টর ড. অজয় পারিদা জানিয়েছেন, ‘করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকের শরীরে কোভিড অ্যান্টিবডির মাত্রা ৩০ থেকে ৪০ হাজার হয়ে যায়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে তা ৫০-এর নিচে থাকতে দেখা গিয়েছে। যদি কারও শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমান ৬০ থেকে ১০০-র মধ্যে থাকে, তাহলেই তাঁর ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি রিপোর্ট পজিটিভ বলে ধরা হয়।’

দেশ জুড়ে যে ২৮টি গবেষণাগারে জেনোম সিকোয়েন্সিং চলছে, অর্থাৎ করোনার বিভিন্ন রূপ নির্ণয় করার প্রক্রিয়া চলছে তার মধ্যে অন্যতম ভুবনেশ্বরের এই ‘ইনস্টিটিউট অব লাইফ সায়েন্সেস’। ভারতে করোনার যে দুটি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, অর্থাৎ কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। তাই ২০ থেকে ৩০ শতাংশ টিকাপ্রাপ্তের শরীরে আ্যান্টিবডি তৈরি নাও হতে পারে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট সামনে এলে তবেই আইসিএমআর বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রে অনুমোদন দিতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

আরও পড়ুন : Booster Dose: দুটি ডোজ়ের পরও নেই অ্যান্টিবডি! বুস্টার ডোজ়ে অনুমোদন দিতে পারে আইসিএমআর