Lok Sabha Elections: জোট সরকার হলেই দেশের আর্থিক বৃদ্ধি থমকে যায়? কী বলছে ইতিহাস?
Lok Sabha Elections: জোট সরকার বলতেই আমাদের চোখে সবচেয়ে টাটকা যে ছবিটা ভেসে আসে সেটা ইউপিএ টু সরকারের। ২০০৯ থেকে ২০১৪, এই সময়ে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির পাশাপাশি ফাঁসের মতো চেপে বসেছিল নীতিপঙ্গুত্ব। সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইউপিএ-টু সরকার। অনেকেই বলছেন, সেটাই হয়তো আমাদের মনে থেকে গিয়েছে।
কলকাতা: কমেছে বিজেপির আসন। আসেনি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা। ভারতের ভোটের ফলে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহলও। ইতিমধ্যেই সেইভাব প্রকাশ পাচ্ছে বহু প্রথম বিশ্বের দেশের সংবাদপত্রেই। শরিক নির্ভর হয়ে মোদীকে অনেক সতর্ক হয়েই চলতে হবে বলে ধরে নিচ্ছে এশিয়া ও ইউরোপের অধিকাংশ মিডিয়া। ভারতেও বারবার যে সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে, ইউরোপের মিডিয়াতেও সেটাই উঠে এসেছে। তাই এর মধ্যে অস্বাভাবিকত্ব কিছুই নেই। কিন্তু, জোট সরকার হলেই দেশের আর্থিক বৃদ্ধি থমকে যাবে বা সংস্কার মুখ থুবড়ে পড়বে, সেটা কীভাবে বলা যায়?
ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশের মতে এটা একটা দৃষ্টিভঙ্গি ছাড়া আর কিছুই নয়। এ ক্ষেত্রে তিনটে ঘটনার কথা মনে করা যেতে পারে। এক, অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানায় পোখরানে পরমাণু বোমার পরীক্ষা। কেন্দ্রে তখন একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধারে কাছে নেই বিজেপি। শরিকদের নিয়েই সরকার চালাচ্ছিলেন অটলবিহারী। দুই, ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক মহামন্দার সময় ভারতের রেকর্ড আর্থিক বৃদ্ধি। তিন, ১৯৯১ সালের আর্থিক সংস্কার। ওই বছর ২৪ জুলাই লোকসভায় বাজেট পেশ করেছিলেন তত্কালীন অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিং। ভারতের ইতিহাসে সব অর্থেই মোড় ঘোরানো বাজেট। কেন্দ্রে তখন শরিকদের সমর্থন নিয়েই সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। অর্থাত্ জোট সরকার থাকলেই যে আর্থিক বৃদ্ধি থমকে যাবে, সরকারের খরচ বেড়ে যাবে, সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সমস্যা হবে এমনটা বলে দেওয়া যায় না।
এদিকে জোট সরকার বলতেই আমাদের চোখে সবচেয়ে টাটকা যে ছবিটা ভেসে আসে সেটা ইউপিএ টু সরকারের। ২০০৯ থেকে ২০১৪, এই সময়ে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির পাশাপাশি ফাঁসের মতো চেপে বসেছিল নীতিপঙ্গুত্ব। সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইউপিএ-টু সরকার। অনেকেই বলছেন, সেটাই হয়তো আমাদের মনে থেকে গিয়েছে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল প্রকাশ দেখে রেকর্ড পতনের মুখে পড়েছিল শেয়ার বাজার। গত দু-দিনে সেখান থেকে অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেনসেক্স ও নিফটি। নতুন সরকার কাজ শুরুর পর পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলেই আশা করা যায়। আরও একটা বিষয় হল মন্ত্রিসভা বিশেষত বিগ-ফোরের সিলেকশন। স্বরাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষা ও বিদেশ – এই চার মন্ত্রিসভার দায়িত্ব কাদের হাতে যাচ্ছে? সেটা দেখেও নরেন্দ্র মোদী সরকারের অভিমুখের একটা আঁচ পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের মতে সরকারের প্রথম ১০০ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। মোদী সরকার কোন পথে হাঁটবে, প্রথম ১০০ দিনেই তাঁর ইঙ্গিত মিলতে পারে। তার আগে নয়।