‘ছাড় দিলে এরা ধর্মের স্বার্থে গণহত্যাও করতে পারে’, জামিয়ায় গুলি চালানো সেই যুবকের ভিডিয়ো দেখে চমকে গেল আদালত
জামিয়ায় গুলি চালানো ওই যুবককে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। আজ ছিল সেই মামলার শুনানি।
গুরগাঁও: বছর দুয়েক আগে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল এই যুবক। কালো জ্যাকেট, হাতে বন্দুক, সেই যুবকের ছবি অনেকেরই মনে আছে। দু’বছর পর সেই যুবককেই গ্রেফতার করা হয়েছে অন্য একটি অভিযোগে। সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। আজ ওই যুবককে আদালতে তোলা হলে সেই ভাষণের ভিডিয়ো দেখে চমকে যান বিচারপতিরা।
সম্প্রতি একটি জনসভায় হরিয়ানার বিজেপি মুখপাত্র ও কার্নি সেনার প্রেসিডেন্টের উপস্থিতে ওই যুবকের দেওয়া ভাষণ ‘উস্কানিমূলক’ বলে অভিযোগ উঠেছে। দিন দুয়েক আগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ গুরগাঁওয়ের আদালতে ছিল সেই মামলার শুনানি। সেখানে ওই অভিযুক্ত যুবকের জামিনের আর্জি খারিজ করে বিচারপতি বলেন, ‘এই ধরনের যুবককে যদি একবার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে এরা ধর্মীয় স্বার্থে গণহত্যাও করতে পারে।’ জামিয়ায় গুলি চালানোর সময় ওই যুবকের বয়স ছিল ১৭ আর এখন ১৯।
বিচারপতি আরও বলেন, ‘কোর্টে যে দাঁড়িয়ে আছে সে মোটেই একজন নিষ্পাপ যুবক নয়। বরং দেখা যাচ্ছে, নির্দ্বিধায় সে যে কোনও অপরাধমূলক কাজ করতে পারে, সবার মধ্যে হিংসা ছড়াতে পারে।’ একইসঙ্গে আদালত আরও বুঝিয়ে দিয়েছে যে ‘বাক স্বাধীনতা’ বা ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ মানে কোনও বিতর্কিত বা উস্কানিমূলক কথা বলা হয়। আদালত জানিয়েছে, ‘প্রত্যেক গণতান্ত্রিক দেশের অন্যতম অঙ্গ হল বাক স্বাধীনতা, তবে তারও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। কথা বলার স্বাধীনতা আছে মানে এই নয় যে সে আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে, বা কোনও বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে পারে।’
ভিডিয়ো দেখে আদালত উল্লেখ করেছে এক বিশেষ সম্প্রদায়কে নিশানা করে বক্তব্য রেখেছিল ওই যুবক। আর এই ধরনের বক্তব্য গণতন্ত্রের পথে অন্তরায়। গত সোমবার ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ধর্মীয় উস্কানি ও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আরও পড়ুন: নাচছেন, খেলছেন অথচ ভ্যাকসিন নিলেন বাড়িতে বসে! প্রশ্নের মুখে প্রজ্ঞা