Anil Deshmukh: ‘আগে জেলের খাবার খেয়ে তো দেখুন’, অনিল দেশমুখের বাড়ির রান্না খাওয়ার আবেদন খারিজ আদালতে

Anil Deshmukh in Judicial Custody: অনিল দেশমুখকে বিচারক বলেছেন, "আগে জেলের খাবার খেয়ে তো দেখুন। যদি সমস্যা হয়, তখন বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে।"

Anil Deshmukh: 'আগে জেলের খাবার খেয়ে তো দেখুন', অনিল দেশমুখের বাড়ির রান্না খাওয়ার আবেদন খারিজ আদালতে
আর্থিক তছরূপের মামলায় অভিযুক্ত অনিল দেশমুখ (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2021 | 11:51 PM

মুম্বই: আর্থিক তছরূপের মামলায় অভিযুক্ত মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী অনিল দেশমুখকে (Anil Deshmukh) ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে (Judicial Custody) পাঠানো হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জেলের খাবার মোটেই মুখে রুচছে না অনিল দেশমুখের। বাড়ির রান্না খাবার খেতে চাইছেন তিনি। তাঁকে যাতে বাড়ির থেকে আনা খাবার খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, এই মর্মে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে আবেদনও করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন বিচারক। অনিল দেশমুখকে বিচারক বলেছেন, “আগে জেলের খাবার খেয়ে তো দেখুন। যদি সমস্যা হয়, তখন বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে।”

তবে ৭১ বছর বয়সি নেতার শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে, জেল কুঠুরিতে তাঁকে একটি খাটে শোয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, এর আগেও অনিল দেশমুখের শারীরিক অবস্থার কথা আদালতে তুলে ধরেছিলেন তাঁর আইনজীবী। প্রথমে তাঁকে গ্রেফতারির পর যখন ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত, সেই সময় বর্ষীয়ান এনসিপি নেতার আইনজীবী বলেছিলেন, তাঁর কাঁধের সমস্যা রয়েছে। কাঁধের হাড় সরে গিয়েছে। তাঁকে সবসময় নিজের কাজের জন্য কারও না কারও সাহায্য প্রয়োজন।

কিন্তু এ সবের পরেও ইডি হেফাজতের থেকে রেহাই পাননি তিনি। প্রথমে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজত, তারপর ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত। আর এরই মধ্যে ফের একবার নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা তুলে ধরে আদালতের দ্বারস্থ হন অনিল দেশমুখ। একাধিক সমস্যার কথা তুলে ধরে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, জেলের খাবার তিনি খেতে পারছেন না, রাতে শোয়ার জন্য একটি খাটের ব্যবস্থা করার জন্য। প্রাক্তন মন্ত্রীর আবেদনের ভিত্তিতে রাতে খাটের ব্যবস্থা করা হলেও, ঘরের খাবার এখনই পাবেন না তিনি। আগে তাঁকে জেলের খাবারই খেয়ে দেখতে বলেছেন বিচারক। কোনওরকম সমস্যা তৈরি হলে, তখন বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন দেশমুখ। চলতি মাসের শুরুতে আদালতে সেই কথাও তুলে ধরেছিলেন তাঁর আইনজীবী। হৃদযন্ত্রের সমস্যার কথাও জানানো হয়েছিল বিচারককে।

শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে থেকে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের পরই গত মার্চ মাসে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংকে সরিয়ে দেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। এরপরই পরমবীর সিং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লিখে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আনেন। তিনি জানান, অম্বানীকাণ্ডে ধৃত পুলিশ অফিসার সচিন ভাজ়ে এবং এসিপি সঞ্জয় পাটিলকে প্রতিমাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিলেন। এর জন্য মুম্বইয়ের ১৬০০ বার-রেস্তোরাঁকেও চিহ্নিত করেছিলেন তিনি।

বিষয়টি আদালত অবধি গড়ালে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তারপরই ইডিও আর্থিক তছরূপের মামলা দায়ের করে। সূত্রের খবর, ইডি আধিকারিকরা ৪ কোটি টাকা তছরূপের খোঁজ পেয়েছেন। অম্বানীকাণ্ডে অভিযুক্ত সচিন ভাজ়ের মাধ্যমে হাতবদল হয়ে তা অনিল দেশমুখের কাছে এসেছিল।

আরও পড়ুন : Anil Deshmukh: ফের ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত অনিল দেশমুখের