বর্ষশেষে স্বস্তি দিচ্ছে করোনা, একদিনে আক্রান্ত ২০ হাজার

বৈঠকে স্থির করা হয়েছে, ব্রিটেন ফেরতদের পাশাপাশি প্রতিটি রাজ্যের করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৫ শতাংশ রোগীদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং-(Genome Sequencing)-র জন্য পাঠানো হবে।

বর্ষশেষে স্বস্তি দিচ্ছে করোনা, একদিনে আক্রান্ত ২০ হাজার
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 29, 2020 | 1:37 PM

নয়া দিল্লি: অভিযোজিত করোনা (New Strain of Coronavirus) চোখ রাঙালেও স্বস্তি দিচ্ছে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ২০ হাজার ২১ জন করোনা (COVID-19) আক্রান্ত হয়েছেন। গত সপ্তাহে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের নীচে ছিল। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে করোনায় মৃতের সংখ্যাও। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৭৯জনের।

একদিনে ১৮ হাজারের বেশি আক্রান্ত নিয়ে বর্তমানে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২ লক্ষ ৭ হাজার ৮৭১। মোট মৃতের সংখ্যা দেড় লাখ ছুঁইছুঁই। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা মিলিয়ে এখনও অবধি দেশে মোট ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯০১ জন করোনার কোপে প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে সুস্থতার হার এখনও উর্দ্ধমুখী হওয়ায় মিলছে স্বস্তি। এখনও অবধি মোট ৯৭ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৬৯ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২১ হাজার ১৩১ জন। কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও, বর্তমানে মোট ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩০১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ৭ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৯৭ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। বর্তমানে সংক্রমণের হার ২.৮ শতাংশ।

করোনার নতুন ‘স্ট্রেন’ নিয়ে চিন্তিত গোটা দেশ, সংক্রমণ চিহ্নিতকরণ ও আটকানোর জন্য জাতীয় টাস্ক ফোর্সও তৎপর। বৈঠকে স্থির করা হয়েছে, ব্রিটেন ফেরতদের পাশাপাশি প্রতিটি রাজ্যের করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৫ শতাংশ রোগীদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং-(Genome Sequencing)-র জন্য পাঠানো হবে।

আরও পড়ুন: কৃষকদের জন্য ‘ন্যায়’ চেয়ে আত্মহত্যা আইনজীবীর, প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সুইসাইড নোট

দেশের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি দিচ্ছে রাজধানী। শীতের শুরুতেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিন গড়ে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। বর্তমানে সেই সংক্রমণের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি (Delhi)-তে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৫জন, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আজ থেকে পঞ্জাব (Punjab), অসম (Assam), অন্ধ্র প্রদেশ (Andhra Pradesh) ও গুজরাটে (Gujrat) আজ থেকে শুরু হচ্ছে ভ্যাকসিনের ‘ড্রাই রান’ (Dry Run)। ভ্যাকসিন বন্টন থেকে বিতরণ- সমস্ত প্রক্রিয়াটিই হাতেকলমে পরীক্ষা করে দেখা হবে।

বিশ্বে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংক্রমণ তালিকার শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা (US)। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৯০ লাখ পার করেছে। নববর্ষে অস্ট্রেলিয়ার অপেরা হাউস (Opera House)-এও এবার হবে না জনসমাগম। করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বসেই বাজি ফাটানো দেখার অনুরোধ করা হয়েছে।

অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea)-তে খোঁজ মিলল ব্রিটেনের নতুন করোনা স্ট্রেনের। সেখানের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা সোমবারই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ২২ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে আগত ওই পরিবারকে আপাতত আইসোলেশনে (Isolation) রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘গো’-তে কাজ হয়নি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এবার কাতর আর্জি ‘নো করোনা নো’