AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভেন্টিলেটরে শ্বাস নিচ্ছেন রোগী, একই দিনে দু’বার জীবিতকে ‘মৃত’ ঘোষণা হাসপাতালের

একইদিনে দু'বার মৃত বলে ঘোষণা করে হাসপাতাল। যদিও হাসপাতালের সাফাই, রোগীর হৃৎযন্ত্র বন্ধ হয়ে গিয়েই এই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

ভেন্টিলেটরে শ্বাস নিচ্ছেন রোগী, একই দিনে দু'বার জীবিতকে 'মৃত' ঘোষণা হাসপাতালের
প্রতীকী চিত্র।
| Updated on: Apr 17, 2021 | 12:35 PM
Share

ভোপাল: করোনা সন্দেহেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ৫৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে। শারীরিক অবস্থা জটিল হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। ভর্তি করার পরেরদিনই এক নার্স পরিবারের সদস্যদের জানান, ওই ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। তবে কিছুক্ষণ বাদেই ফের জানানো হয়, ভুল ঘোষণা করা হয়েছিল, তিনি বেঁচে রয়েছেন। একবার নয়, দু’বার জীবিত থাকা এক ব্যক্তিকেই মৃত ঘোষণা করল হাসপাতাল। যদিও তাদের সাফাই, শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল হওয়ায় এই গরমিল হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে অটল বিহারী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়। শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক সমস্যা থাকায় তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল বললেই জানায় চিকিৎসকরা। বুধবার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়।

রোগীর ছেলে জানান, পরেরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। পরিবারের লোকজন হাসপাতালে পৌঁছতেই এক নার্স এসে জানান, তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের তাঁদের জানানো হয় যে রোগী শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে।

চিকিৎসকেদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, জরুরিভিত্তিতে ওই ব্যক্তির অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। পরিবারের তরফে অনুমতি দেওয়া হলেই তাঁকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সে দিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, অস্ত্রোপচার চলাকালীনই ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাঁর মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সরাসরি রোগী পরিবারের হাতে মৃতদেহ দেওয়া হবে না।

শুক্রবার সকালে পরিবারের সকলে যখন শ্মশানে শেষকৃত্যের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, সেই সময় হাসপাতালের তরফে ফের ফোন করে জানানো হয়, ওই ব্যক্তি মারা যাননি, জীবিতই রয়েছেন তবে শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল।

পরিবারের তরফে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করা হলেই হাসপাতালের ডিন ডঃ সুনীল নন্দেশ্বর বলেন, “ওই ব্যক্তি ভেন্টিলেটর সাপোর্টে চিলেন। আচমকাই তাঁর হৃৎযন্ত্র বন্ধ হয়ে যায়। সেই হিসাবেই এক নার্স তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তবে চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা তাঁর হৃৎযন্ত্র ফের সচল হয়। সেই কারণেই একটি ভুল ভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল।”

আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে দিল্লিতে শুরু সপ্তাহন্তে কার্ফু, নিয়ম ভাঙলেই গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি পুলিশের